রাজ্য সরকারের উদ্যোগে শিল্পকলা প্রশিক্ষণের অভিনব কর্মশালা চন্দননগরে ...
আজকাল | ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
মিল্টন সেন, হুগলি: আনকোরা শিল্পীদের শিল্পসত্ত্বার পরিস্ফুরণের লক্ষ্য নিয়ে এগিয়ে এল পশ্চিমবঙ্গ সরকারের তথ্য ও সংস্কৃতি বিভাগের অন্তর্গত চারুকলা পর্ষদ। শেষ হল পাঁচ দিনের আবাসিক কর্মশালা। হুগলি জেলা ও তথ্য সংস্কৃতি দপ্তরের ব্যবস্থাপনায় চন্দননগর জ্যোতিরিন্দ্রনাথ সভাগৃহে অনুষ্ঠিত হয় এই কর্মশালা।
ছবি আঁকা, মূর্তি গড়ার ক্ষেত্রে আনকোরা শিল্পীদের ভুলত্রুটি শুধরে পূর্ণতা এনে দেওয়া হয় এখানে। প্রত্যেকেই ছবি আঁকতে, মূর্তি গড়তে পারতেন। কিন্তু সেই মূর্তি তৈরির ক্ষেত্রে ভুলত্রুটি শুধরে দেওয়ার লোক ছিল না। নিজেদের শিল্পী হওয়ার স্বপ্নগুলো এতদিন নিজেদের মধ্যে রেখেই চলছিলেন আগামীর চিত্রকররা। আঁকছিলেন ভালই, কিন্তু ভুলত্রুটি থেকেই যাচ্ছিল। সেই ভুলগুলো ধরিয়ে দিলেই শিল্পীর বড় শিল্পী হওয়ার রাস্তা মসৃণ করে দেওয়া হল।
আয়োজিত চারুকলা শিবিরে যোগ দিয়ে ছিলেন আসানশোল, পূর্ব এবং পশ্চিম বর্ধমান, এবং হুগলির প্রায় ৫০ জন শিক্ষার্থী। আবাসিক হিসেবে শিবিরে চূড়ান্তভাবে মনোনীত হন ২৩ জন শিক্ষার্থী। শিক্ষার্থীদের রাখা হয়েছিল পশ্চিমবঙ্গ সরকারের পর্যটন বিভাগের অতিথি নিবাস 'আলো'তে। চলতি মাসের ১১ থেকে ১৫ পাঁচদিনের এই কর্মশালার দায়িত্বে ছিলেন বিশিষ্ট চিত্রশিল্পী হারিট বসু। এছাড়াও প্রশিক্ষণের দায়িত্বে ছিলেন বিশিষ্ট চিত্রকর অভিজিৎ মিত্র, সোমনাথ চক্রবর্তী, সজল কান্তি মিত্রের মত বিশিষ্ট চিত্রশিল্পীরা।
শিল্পীদের জল রং, এক্রোলিকের উপর কাজ শেখানো হয়। ঘরের ভিতর কর্মশালায় ভাবানায় ছবি আঁকা শেখেনো হয়। একইসঙ্গে চন্দননগর গঙ্গার তীরবর্তী স্ট্যান্ডের বিভিন্ন জায়গায় শিক্ষার্থীদের হাতেকলমে বাস্তব ছবি আঁকার তালিমও দেয় হয়। পাশাপাশি মাটি দিয়েও বিভিন্ন ভাস্কর্য শিল্পের প্রশিক্ষণ দেওয়া হয় শিবিরে। প্রত্যেক পদক্ষেপে ভুলত্রুটি শুধরে দিয়ে নিখুঁত শিল্পকলার শিক্ষা দেন প্রশিক্ষকরা।
এই প্রসঙ্গে বিখ্যাত চিত্রশিল্পী হারিট বসু বলেছেন, আগামী দিনে হয়তো এখান থেকেই কোনও বড় শিল্পী উঠে আসবেন। শিবির শেষে অনেককেই বলতে শোনা গেল, এমন শিবিরে যুক্ত হতে পেরে অতীতের নিজেদের ভুলত্রুটি শুধরতে না পারার আক্ষেপ অনেকটাই মিটল।নিজেদের ভুলত্রুটি শুধরে আগামী দিনে নিজেদের শিল্পসত্ত্বা ধরে রাখার ব্রত নিলেন আগামীর চিত্রশিল্পীরা।