• চার অস্ত্র ব্যবসায়ীকে ডেরা থেকে গ্রেফতার করল এসটিএফ, বেআইনি অস্ত্র কারবার ফাঁস
    হিন্দুস্তান টাইমস | ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
  • আবার বড় সাফল্য পেল রাজ্য এসটিএফ। জীবনতলা থানার ঈশ্বরীপুর এলাকা থেকে উদ্ধার ১৯০ রাউন্ড কার্তুজ উদ্ধার করল তাঁরা। ধারাবাহিক অভিযান চালিয়ে এই বিপুল পরিমাণ কার্তুজ উদ্ধার করেছে রাজ্য এসটিএফের তদন্তকারীরা। কার্তুজ উদ্ধারের পাশাপাশি চারজন অস্ত্র ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে খবর। নানা জায়গায় গুলি চালানোর ঘটনায় তদন্ত করছিল এসটিএফ। এবার আগ্নেয়াস্ত্রের মূল উৎস খুঁজে বের করল তাঁরা। এসটিএফের অভিযানে উদ্ধার হয়েছে ১৯০টি পিস্তলের গুলি। তবে চমকে দেওয়ার মতো ঘটনা হল, কার্তুজগুলি অর্ডিন্যান্স ফ্যাক্টরিতে তৈরি হয়েছিল। একইসঙ্গে উদ্ধার হয়েছে ৯টি বারো বোরের কার্তুজ–সহ একটি দোনলা বন্দুক। এই ঘটনায় গ্রেফতার করা হয়েছে কলকাতার একটি নামী অস্ত্র ও কার্তুজ বিপণন সংস্থার এক কর্মচারী–সহ মোট চারজনকে।

    এদিকে গোপন সূত্রে খবর পেয়ে আজ, শনিবার ওই এলাকায় তল্লাশি চালায় রাজ্য এসটিএফের গোয়েন্দারা। আর তখনই উদ্ধার হয় বন্দুক এবং কার্তুজ। এই এলাকায় মাছের কারবার করে এক অভিযুক্ত। ধৃত ব্যক্তির নাম হাজি রশিদ মোল্লা। তাকে জীবনতলা থানার ঈশ্বরীপুর উজিরের মোড় এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এসটিএফ সূত্রে খবর, এলাকার ফিসারীতে মাছ চাষ করে। আর অভিযুক্তর ছেলেও আগে ভাঙড় এলাকা থেকে অস্ত্র–সহ গ্রেফতার হয়েছিল বেশ কয়েক বছর আগে। ধৃত ব্যক্তিরা হল, আশিক ইকবাল গাজি, হাজি রশিদ মোল্লা, আবুল সেলিম গাজি এবং জয়ন্ত দত্ত বলে জানিয়েছে এসটিএফ।


    অন্যদিকে এসটিএফ সূত্রে খবর, সম্প্রতি রাজ্যজুড়ে নানা জায়গায় গুলি চালানোর ঘটনায় তদন্ত করছিল এসটিএফ। অস্ত্রের উৎস খুঁজে বের করতে তদন্তে নেমে নানা জায়গায় যাচ্ছিলেন এসটিএফের গোয়েন্দারা। এবার গোপন সূত্রে খবর পেয়ে অভিযান চালায় দক্ষিণ ২৪ পরগনার জীবনতলা এবং উত্তর ২৪ পরগণার মিনাখাঁ থানার একাধিক জায়গায়। ওই চারজনকে নির্দিষ্ট খবরের ভিত্তিতে ধরা হয়। এরপর তাদের দফায় দফায় জেরা করে উদ্ধার হয় বিপুল পরিমাণ গুলি ও বন্দুক। জেরায় উঠে আসে ধৃতদের মধ্যে নদিয়ার বাসিন্দা জয়ন্ত দত্ত কলকাতায় একটি নামী অস্ত্র বিপণন সংস্থার কর্মচারী। জয়ন্তই গ্রেফতার হওয়া অভিযুক্তদের মধ্যে মাস্টারমাইন্ড বলে সূত্রের খবর।

    এছাড়া প্রত্যেকটি লাইসেন্স প্রাপ্ত বন্দুকের দোকানের জন্য বরাদ্দ থাকে বুলেট। বছরে সেগুলি পরীক্ষা করার জন্য কিছু বুলেট বরাদ্দ করা হয়। আর সেই বরাদ্দ বুলেটেরই একটা বড় অংশ চোরাই পথে ওই অস্ত্র পাচারকারীদের হাতে পৌঁছয়। সেটাই এদিন খতিয়ে দেখে এসটিএফ। ধৃতদের বিরুদ্ধে আজ, শনিবার জীবনতলা থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। আর এদের হেফাজতে নিয়ে তাদের ম্যারাথন করতে চায় এসটিএফ।
  • Link to this news (হিন্দুস্তান টাইমস)