সংবাদদাতা, উলুবেড়িয়া: কলেজের বাৎসরিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতার দৌড়ে অংশ নিয়ে মৃত্যু হল এক ছাত্রের। ঘটনাটি ঘটেছে শনিবার দুপুরে, শ্যামপুরের সিদ্ধেশ্বরী মহাবিদ্যালয়ে। পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃত ছাত্রের নাম রূপম শি (১৯)। বাড়ি বাগনান থানার বাঁটুল গ্রামে। তিনি ওই কলেজের জুওলজি বিভাগের তৃতীয় সেমেস্টারের ছাত্র ছিলেন। শ্যামপুর থানার পুলিস মৃতদেহটি ময়নাতদন্তের জন্য উলুবেড়িয়া শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় মেডিক্যাল কলেজে পাঠিয়েছে।
শনিবার সিদ্ধেশ্বরী মহাবিদ্যালয়ে বাৎসরিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতার পাশাপাশি কলেজের প্রাক্তন ছাত্রছাত্রীদের পুনর্মিলন উৎসব ছিল। রূপমও বাড়ি থেকে খাওয়া-দাওয়া করে কলেজে উপস্থিত হয়েছিলেন। তিনি ২০০ মিটার দৌড়ে অংশ নেন। কিন্তু ২০০ মিটার দৌড় শেষ করে রূপম হঠাৎ করে মাটিতে বসে পড়েন। তারপরেই তিনি সংজ্ঞাহীন হয়ে পড়েন। কলেজের মেডিক্যাল টিম তৎক্ষণাৎ রূমপকে প্রাথমিক চিকিৎসা করে স্থানীয় ঝুমঝুমি ব্লক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে নিয়ে যায়। কিন্তু সেখানে চিকিৎসক তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। আনন্দ উৎসবের মাঝে ছাত্রের এই মৃত্যুতে শোকস্তব্ধ হয়ে পড়ে গোটা কলেজ। কলেজের সমস্ত অনুষ্ঠান বাতিল করে দেওয়া হয়।
অন্যদিকে, এদিন মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য উলুবেড়িয়া মেডিক্যাল কলেজে আনতে অনেকটা দেরি হয়ে গিয়েছিল। তাই এদিন মৃতদেহ ময়নাতদন্ত করার ক্ষেত্রে জটিলতার সৃষ্টি হয়। যদিও পরে বাগনানের বিধায়ক অরুণাভ সেন এবং রাজ্যের পূর্ত ও জনস্বাস্থ্য কারিগরি দপ্তরের মন্ত্রী পুলক রায়ের উদ্যোগে রাতেই মৃতদেহ ময়নাতদন্তের ব্যবস্থা করা হয়। এদিন বিকেলে উলুবেড়িয়া মেডিক্যাল কলেজের মর্গের সামনে গিয়ে দেখা গেল, কান্নায় ভেঙে পড়েছেন মৃত ছাত্রের আত্মীয়রা। একটু দূরে দাঁড়িয়ে আছেন কলেজের অধ্যক্ষ সব্যসাচী সেন সহ কলেজের ছাত্র সংসদের নেতৃত্ব। সব্যসাচীবাবু জানান, সামনের সপ্তাহে ওঁর পরীক্ষা ছিল। কিন্তু তার আগেই তো ও হারিয়ে গেল।
অন্যদিকে, ডিহিমণ্ডলঘাট ১ গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান ও কলেজের প্রাক্তন ছাত্র সুদীপ বেরা জানান, এই মর্মান্তিক ঘটনার পর কলেজের সমস্ত অনুষ্ঠান বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। কলেজ এই ধরনের ঘটনা এই প্রথম।