• বোটে ফরেস্ট সাফারির অনুমতি নিয়ে চলছে কালোবাজারি, সুন্দরবনে সমস্যায় পর্যটকরা
    বর্তমান | ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, দক্ষিণ ২৪ পরগনা: নিয়ম রয়েছে, দিনে সর্বাধিক ১২০টি করে লঞ্চ পর্যটকদের নিয়ে সুন্দরবনের জঙ্গলে ভ্রমণ করতে পারে। অনেক আগে থেকে বোট মালিক বা ট্যুর অপারেটরদের কোনও একদিনের এই স্লট অনলাইনে বুকিং করে রাখতে হয়। কিন্তু, এই নিয়েও কালোবাজারির অভিযোগ উঠেছে। কারণ এক শ্রেণির বোট মালিক অসৎ উপায়ে একের পর এক বোটের অনুমতি নিজেদের দখলে নিয়ে রাখছেন। অথচ, এর বেশিরভাগ বোটে কোনও পর্যটক যাওয়ার ব্যাপার নেই। ফলে অন্য বোট মালিকের যদি অনুমতি প্রয়োজন হয়, তখন তাঁরা সেটা পাচ্ছেন না। এতে আখেরে ভুগতে হচ্ছে পর্যটকদের। তখন অনেক ক্ষেত্রে বাধ্য হয়ে ওই বোট মালিকরা বেশি টাকা দিয়ে আগে থেকে নিয়ে রাখা ‘পারমিশন’ই অন্য বোট মালিকদের থেকে সংগ্রহ করছেন। সূত্রের খবর, অতিরিক্ত ৬০০ থেকে ১০০০ টাকার বিনিময়ে তা দেওয়া হচ্ছে।


    বর্তমানে সুন্দরবন ফরেস্ট সাফারির বুকিং নির্ধারিত দিনের থেকে এক মাস আগে থেকে করা সম্ভব। এখন আর কোনও ‘পারমিশন ফি’ লাগছে না। অভিযোগ, এই সুযোগটি কিছু প্রতিষ্ঠান অসৎভাবে কাজে লাগাচ্ছে। হোটেল মালিকদের একাংশের দাবি, সুন্দরবনের প্রতিটি দ্বীপে যে মোটরবোট রয়েছে, তাদের তথ্য সংগ্রহ করে রাখছে ওই চক্র। এর মধ্যে অনেক বোট বসে গিয়েছে, কিছু অকেজ হয়ে পড়েছে। তাদের লাইসেন্স নম্বর নিয়েই অনলাইনে অনুমতি নিয়ে নিচ্ছেন এক শ্রেণির লোকজন। এর ফলেই অনুমতির কালোবাজারি বাড়ছে। যাঁরা প্রকৃতপক্ষে সুন্দরবনের জঙ্গলে পর্যটকদের নিয়ে যেতে চাইছেন, তাঁরা সেটা পাচ্ছেন না। কারণ দৈনিক অনুমতি দেওয়ার সীমা পূরণ হয়ে যাচ্ছে।


    এই নিয়ে সুন্দরবন টাইগার রিজার্ভ এবং দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা পরিষদের কাছে অভিযোগ জানানো হয়েছে। জেলা পরিষদের উপাধ্যক্ষ অনিমেষ মণ্ডল বলেন, ‘পারমিশন’ নিয়ে ব্যাপক কালোবাজারি হচ্ছে। আমাদের কাছে খবর আসছে। পুলিসকে এই নিয়ে পদক্ষেপ করতে বলেছি। দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা না নিলে এটা থামবে না। অন্যদিকে, টাইগার রিজার্ভের কর্তারা ব্যাপারটি খতিয়ে দেখার আশ্বাস দিয়েছেন। -ফাইল চিত্র
  • Link to this news (বর্তমান)