সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মহাকুম্ভের পুণ্যার্থীদের আরও বেশি সহযোগিতা প্রয়োজন। নয়াদিল্লি স্টেশনে পদপিষ্ট হয়ে ১৮ জনের প্রাণহানির ঘটনায় দাবি বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের। X হ্যান্ডেলে শোকপ্রকাশও করেন তিনি।
রবিবার মমতা লেখেন, “দিল্লিতে পদপিষ্ট হয়ে ১৮ জনের মৃত্যুর ঘটনা হৃদয়বিদারক। এই দুঃখজনক ঘটনা প্রমাণ করে সঠিক পরিকল্পনা এবং ব্যবস্থাপনা কতটা প্রয়োজনীয়। মহাকুম্ভের পুণ্যার্থীদের আরও বেশি সহযোগিতা এবং ব্যবস্থাপনার প্রয়োজন। তাঁদের নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা অত্যন্ত দরকার। নিহতদের পরিবারের প্রতি আমার সমবেদনা রইল। যাঁরা জখম তাঁদের দ্রুত আরোগ্য কামনা করি।”
প্রসঙ্গত, কুম্ভ যাওয়ার উদ্দেশে শনিবার রাতে শয়ে শয়ে মানুষ জড়ো হন নয়াদিল্লি স্টেশনে। আসলে নয়াদিল্লি স্টেশন থেকে একাধিক ট্রেন হয় সরাসরি কুম্ভে যাওয়ার কথা, নয়তো কুম্ভ হয়ে অন্য গন্তব্যে যাওয়ার কথা। সেই ট্রেনগুলির আশায় দাঁড়িয়েছিলেন কয়েক হাজার মানুষ। স্থানীয় সূত্রের দাবি, স্বতন্ত্রতা সেনানী এক্সপ্রেস এবং ভুবনেশ্বর-রাজধানী এক্সপ্রেস এই দুটি ট্রেনে প্রয়াগরাজ যাবেন বলে বহু মানুষ ১২ এবং ১৩ নম্বর প্ল্যাটফর্মে অপেক্ষা করছিলেন। কিন্তু দুটি ট্রেনের কোনওটিই সময়মতো পৌছয়নি। এর মধ্যে গুজব ছড়িয়ে পড়ে যে ট্রেনদুটি বাতিল হয়েছে। এর মধ্যে কুম্ভের জন্য স্পেশাল ট্রেন প্রয়াগরাজ এক্সপ্রেস ঢুকে পড়ে ১৪ নম্বর প্ল্যাটফর্মে। প্রয়াগরাজ এক্সপ্রেস আসতে দেখে ওই ট্রেনের যাত্রীরা তো বটেই বাকি দুটি ট্রেনের যাত্রীরাও হু হু করে ১৪ নম্বর প্ল্যাটফর্মের দিকে ছুটতে থাকেন। সকলে একসঙ্গে ওই ট্রেনটিতে ওঠার চেষ্টা করলে অনেকে পড়ে যান। পদপিষ্ট হয়ে ১৮ জনের প্রাণহানি হয়।