নয়াদিল্লি রেলওয়ে স্টেশনে পদপিষ্ট হয়ে অন্তত ১৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। তাতে অন্তত ১৪ জন মহিলা এবং ২ জন শিশু। এই আবহে এবারে বিজেপিকে খোঁচা মেরে সোশ্যাল মিডিয়ায় কবিতা পোস্ট করলেন তৃণমূল নেতা দেবাংশু ভট্টাচার্য। নিজের পোস্টে দেবাংশু লেখেন, 'ভুলিস কেন, হায়রে মানুষ! সিংহাসনে পদ্মফুল; তাই তো রে তুই অকাল-চিতায়, পূণ্যলোভী যাত্রীকূল!' এর আগে রেল স্টেশনে পদপিষ্ট হওয়ার কাণ্ডে অনেকেই প্রশাসনের দিকে আঙুল তুলেছেন। অভিযোগ করা হয়েছে, ঘটনাস্থলে পুলিশ অনেক দেরিতে গিয়ে পৌঁছেছে।
উল্লেখ্য, রিপোর্ট অনুযায়ী, ১৫ ফেব্রুয়ারি রাতে নয়াদিল্লি স্টেশনের ১৪ এবং ১৫ নম্বর প্ল্যাটফর্মে এই পদপিষ্ট হওয়ার ঘটনা ঘটে। জানা গিয়েছে, প্রয়াগরাজের দু'টি ট্রেন বাতিল হওয়ার পরে এই পদপিষ্ট হওয়ার ঘটনা ঘটে। রাত সাড়ে ৯টা নাগাদ রেলযাত্রীদের মধ্যে দৌড়াদৌড়ি শুরু হয়। যার জেরে পদপিষ্ট হয়ে এখনও পর্যন্ত ১৮ জনের মৃত্যু হয়। আরও অনেক রেলযাত্রী আহত হয়েছেন। এই ঘটনায় তদন্ত শুরু করেছে দিল্লি পুলিশ। কর্মকর্তারা জানিয়েছেন যে স্টেশনের সিসিটিভি ফুটেজ পর্যালোচনা করে দেখছে পুলিশ। কী কারণে এই বিশৃঙ্খলা তৈরি হয়েছিল, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এই বিষয়ে সংবাদ সংস্থা পিটিআইকে বলেছেন এক ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, 'পদপিষ্ট হওয়ার প্রাথমিক কারণ নির্ণয় করাই আমাদের মূল লক্ষ্য। আমরা সিসিটিভি ফুটেজ এবং সেই সময়ের মধ্যে করা ঘোষণা-সহ সমস্ত উপলব্ধ তথ্য বিশ্লেষণ করব।' ওদিকে জানা যাচ্ছে, প্রাথমিক তদন্তে ঘটনার কারণ হিসেবে প্ল্যাটফর্ম পরিবর্তনের বিষয়ে একটি ভুল ঘোষণার দিকে ইঙ্গিত করা হয়েছে। এর জেরে যাত্রীদের মধ্যে বিভ্রান্তি ছড়িয়েছিল বলে অভিযোগ। তবে উত্তর রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক যুক্তি দিলেন, একজন সিঁড়ি দিয়ে পিছলে পড়ার জেরেই এই মর্মান্তিক দুর্ঘটনা ঘটেছে।
বার্তা সংস্থা এএনআই-এর পোস্ট করা একটি ভিডিয়োতে উত্তর রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক হিমাংশু শেখর বলেন, 'যখন এই মর্মান্তিক দুর্ঘটনা ঘটে, খন পটনাগামী মগধ এক্সপ্রেস দাঁড়িয়ে ছিল নয়াদিল্লি স্টেশনের ১৪ নম্বর প্ল্যাটফর্মে। এবং জম্মুগামী উত্তর সম্পর্কক্রান্তি এক্সপ্রেস ১৫ নম্বর প্ল্যাটফর্মে ছিল। সেই সময় প্ল্যাটফর্ম ১৪ ও ১৫-তে নামতে গিয়ে সিঁড়িতে একজন যাত্রী পা পিছলে পড়ে যান এবং কয়েকজন আঘাত পান এবং তার থেকেই এই দুর্ঘটনা ঘটেছে। এই নিয়ে উচ্চ পর্যায়ের কমিটি তদন্ত করছে।'