• রাজার কথায় দেশ চলে না, নাম না করে মোদিকে শ্লেষ ভাগবতের 
    বর্তমান | ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, তালিত: দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বিজেপির কাছে ‘বিশ্বগুরু’। তিনি ‘মন কি বাত’ বলে সমাজে নবজাগরণের চেষ্টা করেন। অনুগামীদের দাবি, তিনিই পথ প্রদর্শক। কিন্তু তা সত্ত্বেও তিনি নির্বাচিত জনপ্রতিনিধির বেশি নন। ভারত গণতান্ত্রিক দেশ। এখানে কেউ রাজা নেই। এই মন্তব্য স্বয়ং আরএসএস প্রধান মোহন ভাগবতের। নাম না করলেও তাঁর লক্ষ্য যে নরেন্দ্র মোদি, সে ব্যাপারে সংশয় নেই ভক্তকুলেরও। কারণ রবিবার বর্ধমানের তালিতে ভাগবত স্পষ্ট বলেছেন, ‘কোনও নেতা সমাজ বদলাতে পারে না। আমাদের এখানে রাজা-মহারাজাদের কথা চলে না। অনেক হয়েছে। মানুষ সেই রাজাকে মনে রাখে, যিনি বাবার নির্দেশে ১৪ বছর বনে ছিলেন। তাঁর ভাই দাদার পাদুকা নিয়ে প্রজাপালন করেছিলেন। দাদা ফিরে এলে সেই রাজত্ব ফিরিয়েও দিয়েছিলেন। সেটাই মানুষ মনে রেখেছে।’ রাজনৈতিক মহলের প্রশ্ন, এভাবে কি সরসঙ্ঘ চালক প্রধানমন্ত্রীকে কর্তব্য এবং কৃতজ্ঞতার পাঠ দিলেন? 


    কোনও ‘শাসক নেতার’ কথায় যে আরএসএস চলবে না, তা সাম্প্রতিক অতীতে বারবার বুঝিয়েছেন ভাগবত। বরং নরেন্দ্র মোদির তৃতীয় ইনিংসে মুঠা আরও শক্ত করেছে সঙ্ঘ। মনে করিয়ে দিয়েছে, বিজেপি দেশ শাসন করতে পারে। ভিত তারাই। এই সুরই যেন শোনা গিয়েছে এদিন ভাগবতের কণ্ঠে। দিলীপ ঘোষ, রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের মতো বিজেপির নেতাদের সামনেই তিনি বলেছেন, ‘এখানে ধনী লোকের কথাও চলে না। পুরো দেশে একজন মানুষেরই নাম চলে। তিনি কিন্তু এক টাকাও উপার্জন করেননি। তিনি কোথাও নির্বাচিত হয়েও আসেননি। গুণ এবং কাজের জন্যই তিনি চিরকাল মানুষের মনে থেকে যাবেন। তাঁর নাম স্বামী বিবেকানন্দ। পরম্পরা থাকলে ভারত আছে। না থাকলে নেই।’ এক্ষেত্রে অবশ্য হিন্দুত্বের ধ্বজা তুলে ধরেন ভাগবত। বলেন, ‘হিন্দু সমাজ ও ভারত এক রূপ। হিন্দু সমাজ সারা দেশের বৈচিত্র্যকে একসূত্রে বেঁধেছে। আজও সেটাই সত্যি। যে কথা অন্যকে দুঃখ দেয়, তা বলা উচিত নয়। শাসক, প্রশাসক, নেতা আছে। তারা নিজেরা নিজেদের কাজ করে সহযোগিতা করবে। কিন্তু দেশের ভাগ্য পরিবর্তনের জন্য এগিয়ে আসতে হবে সমাজকেই।’
  • Link to this news (বর্তমান)