মুখ্যমন্ত্রীর হাতেই উদ্বোধন হবে ঘাটাল মাস্টার প্ল্যানের
বর্তমান | ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
সংবাদদাতা, ঘাটাল: রাজ্য বাজেটে ঘাটাল মাস্টার প্ল্যানের জন্য টাকা বরাদ্দ হয়েছে। কাগুজে কাজও দ্রুতগতিতে এগচ্ছে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাত দিয়ে ঘাটাল মাস্টার প্ল্যান প্রকল্পের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন হলেই তৎপরতার সঙ্গে কাজ শুরু হয়ে যাবে। রবিবার ঘাটাল শহরের টাউনহলে ঘাটাল মাস্টার প্ল্যান কমিটির বৈঠক সেরে এ কথা জানান ঘাটালের সাংসদ দেব। তিনি বলেন, প্রশাসনের সর্বস্তরে ঘাটাল মাস্টার প্ল্যান নিয়ে তৎপরতা চলছে। দিদির হাত দিয়েই তাঁর স্বপ্নের প্রকল্পের উদ্বোধন করাতে চাই। তিনি যেদিন সময় দেবেন, সেদিনই এই প্রকল্পের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন হবে। কারণ, এই মাস্টার প্ল্যান কার্যকরী করার পুরো কৃতিত্ব দিদির। বিগত কয়েক মাসে দিদির সঙ্গে আমার যদি তিনটে বিষয়ে কথা হয়ে থাকে তার মধ্যে ঘাটাল মাস্টার প্ল্যানের বিষয়টিও থাকত। দেব বলেন, ঘাটাল মাস্টার প্ল্যান বাস্তবায়িত হওয়ায় আমি অত্যন্ত খুশি। ঘাটাল মাস্টার প্ল্যান পূর্ব ভারতের অন্যতম বড় এবং গুরুত্বপূর্ণ একটি প্রকল্প বলে দাবি করেন রাজ্যের সেচমন্ত্রী মানস ভুঁইয়া। তিনি বলেন, বাজেটে ৫০০ কোটি টাকা বরাদ্দের আগেই খাল সংস্কার, ড্রেজিং সহ ৩৪১ কোটি টাকার কাজ হয়েছে। এই প্রজেক্টের জন্য মোট ১৫০০ কোটি টাকার প্রয়োজন। তিনি ঘাটাল মাস্টার প্ল্যানকে বাস্তবায়িত করার জন্য সর্বস্তরের মানুষের সহযোগিতার আবেদন জানান। তিনি বলেন, মাস্টার প্ল্যানকে ১০০ শতাংশ সফল করার জন্য আমরা গ্রাম পঞ্চায়েত স্তর পর্যন্ত কমিটি করেছি। মাস্টার প্ল্যান নিয়ে কিছু কিছু মানুষের কল্পিত আশঙ্কা রয়েছে। আমরা সেই ভ্রান্ত ধারণা দূর করার জন্য প্রত্যেকটি মানুষের কাছে যাব। তাঁদের সমস্ত প্রশ্নের উত্তর দেব। আমাদের বিশ্বাস, প্রত্যেকটি মানুষই আমাদের প্রশ্নে সন্তুষ্ট হয়ে মাস্টার প্ল্যান রূপায়ণে সহযোগিতা করবে।
বর্তমান চন্দ্রেশ্বর খালকে নতুন করে পাঁচ কিলোমিটার ৮০০ মিটার সম্প্রসারিত করতে প্রচুর জমি লাগবে। মানসবাবু বলেন, আমাদের সরকার কারও থেকে জোর করে জমি নেবে না। বাজার মূল্যের থেকে আড়াইগুণ বেশি টাকা দিয়ে মাস্টার প্ল্যানের জন্য জমি কিনে নেবে।
ঘাটাল মাস্টার প্ল্যানে প্রাথমিক ভাবে কী কী কাজ করা হবে তারও বিস্তারিত বিবরণ এদিন তুলে ধরা হয়। মন্ত্রী বলেন, আমরা কোনও কিছুই গোপন করতে চাই না। সমস্ত কিছু স্বচ্ছভাবে সাধারণ মানুষের কাছে তুলে ধরতে চাই। ঘাটাল মাস্টার প্ল্যান ইমপ্লিমেন্টেশন কমিটির মিটিংয়ে দেব, মানসবাবু, মন্ত্রী শিউলি সাহা, দাসপুরের বিধায়ক মমতা ভুঁইয়া ও চন্দ্রকোণার বিধায়ক অরূপ ধাড়া, সেচদপ্তরের সচিব মনীশ জৈন, পশ্চিম মেদিনীপুরের জেলাশাসক খুরশিদ আলি কাদেরি, পুলিস সুপার ধৃতিমান সরকার, মহকুমা শাসক সুমন বিশ্বাস, সেচদপ্তরের ইঞ্জিনিয়ার, পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার ১০টি ব্লক ও তিনটি পুরসভার জনপ্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
এদিন ঘাটাল মাস্টার প্ল্যানের মিটিং সেরে দেব ঘাটাল রবীন্দ্র শতবার্ষিকী মহাবিদ্যালয়ে যান। কারণ, তিনি সম্প্রতি ফের ওই কলেজের গভর্নিং বডির সভাপতির দায়িত্ব পেয়েছেন। সেখানে গিয়ে একটি মিটিংও করেন বলে জানা গিয়েছে।