• কৃষিক্ষেত্রেও বঞ্চনার অভিযোগ কৃষক সংগঠনের জেলা সম্মেলনে
    বর্তমান | ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
  • সংবাদদাতা, কান্দি: কৃষিক্ষেত্রেও বাংলাকে বঞ্চনা করছে কেন্দ্রের বিজেপি সরকার। এমনই অভিযোগ তুলেছে তৃণমূলের কৃষক সংগঠন। রবিবার কান্দিতে রাজ্যের শাসকদলের বহরমপুর-মুর্শিদাবাদ কিষান খেতমজুর সংগঠনের জেলা সম্মেলনে এই অভিযোগ উঠে এল। তবে রাজ্য সরকার কৃষির উন্নয়নে ত্রিফলা নীতি প্রয়োগ করে সাফল্য পাচ্ছে বলেও সম্মেলনে দাবি করা হয়।


    এদিন দুপুরে কান্দি শহরের রামেন্দ্রসুন্দর অডিটোরিয়ামে এই সম্মেলন হয়। সেখানে রাজ্যের কৃষি বিপণনমন্ত্রী বেচারাম মান্না, প্রাক্তন কৃষিমন্ত্রী তথা তৃণমূলের কৃষক খেতমজুর সংগঠনের রাজ্য সভাপতি পূর্ণেন্দু বসু, সংগঠনের জেলা সভাপতি আবদুল মাতিন, শাসকদলের বহরমপুর সাংগঠনিক জেলা সভাপতি অপূর্ব সরকার, মুর্শিদাবাদের সাংসদ আবু তাহের খান সহ অন্যরা উপস্থিত ছিলেন। এদিন জেলা সভাপতি সংগঠনের পতাকা তোলার পর সম্মেলন শুরু হয়।


    সম্মেলনে বক্তারা জানান, রাজ্য সরকার ‘কৃষকবন্ধু’ প্রকল্পে ১ কোটি ২৪ হাজার টাকা বাংলার চাষিদের দিচ্ছে। ৬৭ হাজার ৬৩০জন ওই প্রকল্পে পেনশন পাচ্ছেন। রবি মরশুমে ৬৬লক্ষ কৃষক বাংলা শস্যবিমা যোজনার আওতায় এসেছেন। খরিফ মরশুমে ৭৩ লক্ষ ২৫ হাজার কৃষককে এই বিমার আওতায় আনা হয়েছে।


    ২০১৪সালে রাজ্যে প্রথম সুফল বাংলা আউটলেট খোলা হয়। এখন রাজ্যে ৬৪০টি এরকম আউটলেট রয়েছে। এর মধ্যে ৮২টি ভ্রাম্যমাণ আউটলেট। বাকিগুলি স্থায়ী। পেঁয়াজ সংরক্ষণে রাজ্য সরকারের নতুন প্রকল্প ‘আমার ফসল, আমার গোলা’। পেঁয়াজ চাষিদের উৎসাহিত করতে রাজ্যে ৯১৭টি গোলা তৈরি করা হচ্ছে। এর মধ্যে ছোট গোলায় চাষিরা পেঁয়াজ সংরক্ষণ করতে পারবেন। বাকিগুলি সরকারি নিয়ন্ত্রণে থাকবে। 


    সেখান থেকে বিভিন্ন সুফল বাংলা আউটলেটে পেঁয়াজ রপ্তানি করা হবে। রাজ্য সরকার বছরে ২৫টন পেঁয়াজ সংরক্ষণ করতে পারবে।


    সম্মেলনে মন্ত্রী বেচারাম মান্না বলেন, মুর্শিদাবাদ জেলা ১০০শতাংশ কৃষি নির্ভর। বিজেপি সরকার অন্য প্রকল্পের মত কৃষিক্ষেত্রেও বাংলাকে বঞ্চনা করছে। কিন্তু রাজ্য সরকারের ত্রিফলা নীতি কৃষিক্ষেত্রে বাংলাকে এগিয়ে নিয়ে চলেছে। কর্মীদের রাজ্য সরকারের বিভিন্ন প্রকল্প নিয়ে চাষিদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে প্রচার করতে হবে।


    মন্ত্রী জানান, এই ত্রিফলা নীতির প্রথমটি হল, কম সুদে চাষিদের ঋণ, কৃষি যন্ত্রপাতি ও বীজ বিলি করে সহায়তা। দ্বিতীয়টি হল, উন্নত কৃষিবিজ্ঞানকে কাজে লাগিয়ে উৎপাদিত ফসল বাজারজাত করা ও চাষিদের ন্যায্য দাম পাওয়ার ব্যবস্থা করা। তৃতীয়টি হল, কৃষিজমি বাড়িয়ে তোলা।


    সংগঠনের রাজ্য সভাপতি পূর্ণেন্দু বসু বলেন, কেন্দ্রীয় সরকার সবসময় মিথ্যাচার করে চলেছে। বিজেপির বঞ্চনার বিরুদ্ধে জবাব দেওয়ার সময় এসে গিয়েছে। রাজ্য সরকার নানাভাবে চাষিদের সহযোগিতা করে বাংলার অর্থনীতি এগিয়ে নিয়ে চলেছে। এবিষয়ে কর্মীদের চাষিদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে প্রচার করতে বলা হয়েছে।
  • Link to this news (বর্তমান)