• কৃষিদপ্তর ও রামকৃষ্ণ মিশনের যৌথ উদ্যোগে হলদিয়ায় মৌমাছি পালনের প্রশিক্ষণ
    বর্তমান | ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
  • সংবাদদাতা, হলদিয়া: মহিলাদের স্বনির্ভর করতে কৃষিদপ্তরের কারিগরি পরামর্শে মৌমাছি পালন এবং মধু উৎপাদনের উদ্যোগ নিয়েছে হলদিয়ার রামকৃষ্ণ সারদা মিশন আশ্রম। রবিবার হলদিয়া পুরসভার প্রেস কর্নার সভাকক্ষে মৌমাছি পালনের জন্য প্রথম পর্বের প্রশিক্ষণের সূচনা হল। হলদিয়া পুরসভা এবং লাগোয়া গ্রামীণ এলাকায় মহিলাদের বাড়ির উঠানে বক্সের মাধ্যমে দেশি মৌমাছি পালনের একটি মডেল প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে। হলদিয়ায় এধরনের প্রকল্প প্রথম শুরু হয়েছে। সামাজিক দায়বদ্ধতা কর্মসূচিতে এই প্রকল্পে আর্থিক সহায়তা করছে হলদিয়া পেট্রকেমিক্যালস। প্রথম পর্যায়ে ৩০জন মহিলাকে প্রশিক্ষণ দিয়ে মৌমাছি চাষ ও বাড়িতে বসে মধু উৎপাদনে যৌথভাবে উৎসাহিত করা হচ্ছে। এদিন মহিলাদের মৌমাছি পালনের প্রশিক্ষণ দেন নিমপীঠ শ্রীরামকৃষ্ণ আশ্রমের বিবেকানন্দ ইনস্টিটিউট অব বায়োটেকনোলজির মৌমাছি বিশেষজ্ঞ মনোজ বাগানী। তিনি মহিলাদের হাতেনাতে বক্সের মাধ্যমে বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে মৌচাক তৈরি, মৌমাছির পরিচর্যা, মধু নিষ্কাশনের যন্ত্র ব্যবহারের প্রশিক্ষণ দিয়েছেন। এদিন ওই মহিলাদের মৌমাছি বাক্স, টেবিল ও মধু নিষ্কাশন যন্ত্র তুলে দেওয়া হয়েছে রামকৃষ্ণ মিশনের তরফে। প্রশিক্ষণ কর্মশালায় উপস্থিত ছিলেন সুতাহাটা ব্লকের কৃষি আধিকারিক সব্যসাচী মণ্ডল, পেট্রকেমের চিফ ম্যানেজার বিভাস রায়চৌধুরী, রামকৃষ্ণ সারদা মিশন আশ্রমের সাধারণ সম্পাদক স্বামী বিবেকাত্মানন্দজি মহারাজ। কৃষি আধিকারিক বলেন, হলদিয়ার জন্য এটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্প। মিশনের কাজে কৃষিদপ্তর কারিগরি সহায়তা করবে। মহিলাদের আরও প্রশিক্ষণের জন্য কৃষিদপ্তর পাশে থাকবে। স্বনির্ভরতার সঙ্গে হলদিয়ার বাস্তুতন্ত্র বাঁচাতে এই প্রকল্প বাস্তবায়িত করতেই হবে। হলদিয়া এবং লাগোয়া এলাকার সব্জি সহ সব ধরনের গাছের ফলন কমছে। মৌমাছি চাষ শুরু হলে ফলন বাড়বে। তবে সবাইকে ধৈর্য ধরতে হবে। কারণ এখানে বড় বাগান বা সর্ষের মতো খেত নেই। আতমা প্রকল্পের মাধ্যমে মৌমাছি পালনে কৃষিদপ্তর উৎসাহিত করছে। মৌমাছি বিশেষজ্ঞ বলেন, এপিস সেনারা ইন্ডিকা নামে দেশি প্রজাতির মৌমাছি পালন করা হবে এই বাক্সের মাধ্যমে। সারা রাজ্যে দেশি মৌমাছির আকাল। অনেক খোঁজ করে রানি মৌমাছি সংগ্রহ করতে হচ্ছে। বিবেকাত্মানন্দজি মহারাজ বলেন, হলদিয়া শিল্পাঞ্চলের জন্য এটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্প। পেট্রকেম এবং কৃষিদপ্তর এগিয়ে এসেছে একাজে সাহায্য করতে। প্রকল্প বাস্তবায়িত হলে হলদিয়ায় খাঁটি মধু মিলবে। 
  • Link to this news (বর্তমান)