পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, মহকুমার প্রত্যেকটি থানা এলাকায় সাতটি পয়েন্টে নাকা চেকিং করা হয়। তারমধ্যে আরামবাগ থানায় চারটি পয়েন্টে, খানাকুল থানায় একটি ও গোঘাট থানার দু’টি জায়গায় নাকা চেকিং করা হয়। ট্রাফিক আইন ভঙ্গকারী ১১৩ জনের বিরুদ্ধে আইনত ব্যবস্থা নেয় পুলিস। তাদের কাছ থেকে এক লক্ষ আট হাজার টাকা জরিমানা আদায় হয়েছে। এক্ষেত্রে আরামবাগ থানায় আদায় হয়েছে ৩২ হাজার ৫০০ টাকা। গোঘাট থানা জরিমানা আদায় করেছে ৩৪ হাজার ৫০০ টাকা। খানাকুল থানা থেকে ৩৭০০ টাকা ও পুরশুড়া থানার পুলিস চার হাজার টাকা আদায় করেছে। এছাড়া জুয়ার বিরুদ্ধে অভিযান চালিয়েও পুলিস ছ’জনকে গ্রেপ্তার করেছে। তারসঙ্গে বোর্ড মানি প্রায় ১৪০০ টাকা উদ্ধার হয়েছে। পুলিস জানিয়েছে, ওই রাতে চোলাই মদের বিরুদ্ধেও ম্যারাথন অভিযান চালানো হয়। তার জেরে ২২১ লিটার চোলাই মদ উদ্ধার হয়। গোঘাট ও খানাকুল থানা চারজনকে গ্রেপ্তার করে।
পুলিস সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, বিভিন্ন অভিযোগের ভিত্তিতে মহকুমার বিভিন্ন থানা থেকে ১৩ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাছাড়া অপরাধ প্রবণতা রুখতে ৭৪ জনের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থাও নেওয়া হয়। পুলিসের এক আধিকারিক বলেন, আরামবাগ থানায় অবৈধ বালি পরিবহণের অভিযোগে একটি ট্রাক্টর আটক করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, আরামবাগ মহকুমায় বিভিন্ন জায়গায় দুর্ঘটনা বাড়ছে। তারসঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে মৃত্যুও। অনেকে আবার হেলমেট ব্যবহার না করেই বাইক চালাচ্ছেন। তাই বাসিন্দাদের সচেতনতার পাশাপাশি আইনানুগ ব্যবস্থাও নেওয়া হচ্ছে। শনিবার এনিয়ে স্পেশাল ড্রাইভ চালানো হয়। মাঝেমাঝেই এরকম অভিযান হবে বলে পুলিস জানিয়েছে। নিজস্ব চিত্র