• সাঁতুড়িতে পড়ে কর্মতীর্থ, ভাড়ায় নিয়েও খোলে না দোকান, ক্ষোভ
    বর্তমান | ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
  • সংবাদদাতা, রঘুনাথপুর: সাঁতুড়ি ব্লকের বেকার যুবক-যুবতীদের কর্মসংস্থানের জন্য রাজ্য সরকারের তরফে কয়েক কোটি টাকা খরচ করে কর্মতীর্থ ভবন গড়ে তোলা হয়। কিন্তু কর্মতীর্থের অর্ধেকের বেশি দোকান মালিকরা না খোলায় অনিশ্চয়তা দেখা গিয়েছে। বর্তমানে দেড় লক্ষ টাকার বেশি ইলেকট্রিক বিল বাকি পড়ে রয়েছে। ফলে যে কোনও দিন বিদ্যুৎ সংযোগ কেটে দেওয়া হতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন বাকি ব্যবসায়ীরা। 


    সাঁতুড়ি ব্লকের বিডিও‌ তথা কর্মতীর্থ পরিচালন কমিটির চেয়ারম্যান পার্থ দাস বলেন, কর্মতীর্থের কমিটিকে নিয়ে শীঘ্রই একটি মিটিং ডাকা হবে। পাশাপাশি যে সমস্ত ব্যবসায়ীরা স্টল নেওয়ার পরেও সেগুলি খোলেননি তাঁদের বাতিল করে অন্যদের স্টল বণ্টন করা হবে। পাশাপাশি বিদ্যুতের বিলের বিষয়টিও আলোচনা করা হবে। 


    রাজ্য প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী বেকার যুবক-যুবতীদের কর্মসংস্থানের জন্য বিশেষ পদক্ষেপ গ্রহণ করেছিল। যেসব যুবক-যুবতী ব্যবসা করে স্বাবলম্বী হতে চায় তাঁদের জন্য কর্মতীর্থ গড়ে তোলা হয়। 


    সাঁতুড়ি বাজারের সামনে রাজ্য সরকারের তরফ থেকে ৪০টি স্টল বিশিষ্ট কর্মতীর্থ গড়ে তোলা হয়। লটারির মাধ্যমে ৪০ জনকে স্টল দেওয়া হয়। ২০১৮ সালে কর্মতীর্থটি চালু হয়। কর্মতীর্থটি পরিচালনার জন্য ‘সাঁতুড়ি কর্মতীর্থ প্রজেক্ট এসভিপি’ কমিটি গঠন করা হয়। সেই সময় সিদ্ধান্ত হয়, আগামী পাঁচ বছরের জন্য স্টলগুলি ব্যবসা করার জন্য দেওয়া হচ্ছে। পাঁচ বছর পর পুনরায় ব্যবসায়ীদের স্টল রিনিউয়াল করা হবে। যাঁরা স্টল নিয়েছেন তাঁরা বৈদ্যুতিক বিল ও রক্ষণাবেক্ষণ বাবদ মাসিক ৫০০ টাকা করে দেবে। সেই টাকা কমিটির নিজস্ব অ্যাকাউন্টে থাকবে। যাঁরা দোকান খুলবে না তাঁদের নোটিস করা হবে। নোটিসের সাত দিন পর দোকান না খুললে চাবি নিয়ে নেওয়া হবে।


    অভিযোগ, স্টল নেওয়ার পরেও অর্ধেকের বেশি ব্যবসায়ী দোকান খোলেননি। তাঁদের একাধিকবার নোটিস করা হলেও জবাব দেননি। যদিও এক ব্যবসায়ী বলেন, ওই স্থানে কোনও ক্রেতা আসেন না। দোকান খুলে বসে থাকতে হয়। কর্মচারীদের বেতন দিতেও পারি না। তাই আর দোকান খোলা হয় না।  


    কমিটির সম্পাদক বিকাশ ভাণ্ডারী বলেন, পাঁচ বছর হতে চলল। অর্ধেকের বেশি দোকানদার দোকান খোলেননি। অথচ দোকানের চাবি নিজের কাছে রেখে দিয়েছেন। কমিটি নির্ধারিত টাকাও তাঁরা দেননি। এখন যাঁরা ব্যবসা করছেন তাঁরাও টাকা দিতে চাইছেন না। ফলে একপ্রকার অচলাবস্থা দেখা গিয়েছে।


    কমিটির ভাইস চেয়ারপার্সন প্রতিমা বাউরি বলেন, পাঁচ বছর সম্পূর্ণ হয়ে গিয়েছে। তাই যে সমস্ত দোকানদার দোকান খোলেননি তাঁদের চাবি নিয়ে নেওয়ার প্রয়োজন রয়েছে। কমিটির তরফ থেকে প্রশাসনকে বিষয়টি জানানো হয়েছে।
  • Link to this news (বর্তমান)