নিজস্ব প্রতিনিধি, মালদহ: মালদহের হবিবপুরে বৃদ্ধার গলায় বটি ঠেকিয়ে লক্ষাধিক টাকার গয়না ও নগদ লুট করল দুষ্কতীরা। আক্রান্ত বৃদ্ধার নাম আন্না মৃধা। গুরুতর জখম অবস্থায় তিনি মালদহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
মালদহের পুলিস সুপার প্রদীপকুমার যাদব বলেন, এই ঘটনায় আশিস সরকার নামে এক যুবককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ধৃতের বাড়ি মালদহের বামনগোলা ব্লকের নালাগোলায়। ধৃত যুবক আক্রান্ত বৃদ্ধার আত্মীয়। জেরায় সে অপরাধ কবুল করেছে। চুরি যাওয়া সামগ্রী দুষ্কৃতীরা দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার তপন থানা এলাকায় পাচার করে দিয়েছে বলে পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে।
যদিও ধৃতকে কোথা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে,তা স্পষ্ট করেনি পুলিস। তদন্তকারীদের সূত্রে জানা গিয়েছে,এদিন ঘটনার তদন্ত করতে গেলে আক্রান্ত বৃদ্ধার নাতি পুলিসকে জানায়, শনিবার রাতে দুষ্কৃতী যখন তার ঠাকুমার গলায় বটি ধরে বাড়িতে লুঠ চালাচ্ছিল, সেই সময় বাইরে আরেক ব্যক্তিকে মোটর বাইক নিয়ে অপেক্ষা করতে দেখেছিল সে। শিশুটির বয়ানের উপর ভিত্তি করে এলাকার বিভিন্ন সিসি ক্যামেরা খতিয়ে দেখে পুলিস বেশকিছু তথ্য হাতে পায়। তাতেই দেখা যায় চুরি করে আততায়ী ও তার সঙ্গী একটি বাইকে চম্পট দিয়েছিল।
পুলিস এবং পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, শনিবার রাত আড়াইটে নাগাদ আন্না মৃধা শৌচাগারে যাওয়ার জন্য ঘুম থেকে ওঠেন। তাঁদের শৌচাগারটি বাড়ির বাইরে হওয়ায় ঘরের দরজা খুলে গিয়েছিলেন বৃদ্ধা। অন্যদিনের মতো বড় নাতি শৌভিক তার ঠাকুমার সঙ্গেই ঘুমিয়েছিল। কিন্তু ঠাকুমা শৌচাগারে যাওয়ার সময় তারও ঘুম ভেঙে যায়। বৃদ্ধা নাইট বাল্ব জ্বালিয়ে ঘুমোন। সেই ক্ষীণ আলোতেই শৌভিক কাউকে ঘরের ভিতর ঢুকতে দেখে। এরপর তার ঠাকুমা ঘরে এলে তাঁকে সে বিষয়টি জানায়। কিন্তু ঠাকুমা নাতির কথায় গুরুত্ব না দিয়ে ফের ঘুমোতে গেলে আততায়ী তাঁর ওপর চড়াও হয়।
রবিবার ঘটনার বিবরণ দিতে গিয়ে ছোট্ট শৌভিক বলে, এক হাতে বটি নিয়ে ওই লোকটা ঠাকুমার মুখে বালিশ চেপে ধরে। সে সমানে ঠাকুমাকে বলতে থাকে, বাড়িতে যা আছে, সব বের করে দে। ঠাকুমা ভয়ে চুড়ি থেকে শুরু করে আলমারির সমস্ত জিনিস বের করে দেয়।