• এমজেএনে ইন্টার্নের মৃত্যু প্রিন্সিপালের নামে পোস্টার
    বর্তমান | ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, কোচবিহার: কোচবিহার মেডিক্যালের ইন্টার্ন কিষানকুমারের বিয়ের খবর জানতেনই না পরিবারের সদস্যরা। এরকম কোনও বিষয় সম্পর্কে তাঁর পরিবারের এখনও কিছু জানা নেই। এদিকে, যে যুবতী ঘটনার পর আত্মঘাতী হওয়ার চেষ্টা করে মেডিক্যাল কলেজে চিকিৎসাধীন রয়েছেন, তিনি অনেকটাই সুস্থ হয়ে উঠেছেন। কিষানকুমারের মৃত্যুর পর মেডিক্যাল কলেজের প্রিন্সিপাল ডাঃ নির্মলকুমার মণ্ডলের ছবি দিয়ে তৈরি করা মিম সোশ্যাল মিডিয়ায় ঘুরছিল। এবার সেই মিমেরই পোস্টার তৈরি হয়েছে। যা কলেজের বিভিন্ন দেওয়ালে সাঁটা হয়েছে।  


    মৃত ইন্টার্ন কিষানকুমারের মাসতুতো দাদা চন্দনকুমার বলেন, রেজিস্ট্রি করে বিয়ের কোনও খবর বাড়িতে ছিল না। শুধু রেজিস্ট্রি বিয়ে নয়, কোনও মহিলার সঙ্গে ঘনিষ্ঠতার বিষয়েও কোনও খবর নেই। কি হয়েছিল তা জানা নেই।


    কোচবিহারের পুলিস সুপার দ্যুতিমান ভট্টাচার্য বলেন, আমরা ঘটনার তদন্ত চালাচ্ছি। কয়েকজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। 


    এমজেএন মেডিক্যাল কলেজের প্রিন্সিপাল বলেন, আমার বিরুদ্ধে কলেজে কিছু পোস্টার সাঁটা হয়েছে, সেটা আমার নজরেও এসেছে। এ নিয়ে আমার কিছু বলার নেই। চিকিৎসাধীন ওই যুবতীর অবস্থা স্থিতিশীল। চিকিৎসকরা বললেই ছুটি দেওয়া হবে। 


    কোচবিহার এমজেএন মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের প্রশাসনিক ভবন যেখানে, সেই ক্যাম্পাসেই রয়েছে নার্সিং হস্টেল। নার্সিং স্টুডেন্টরা থাকেন না বলে সেখানে ইন্টার্নদের থাকার ব্যবস্থা করেছে কলেজ কর্তৃপক্ষ। সেই হস্টেলের চারতলার ৩০৪ নম্বর রুমে থাকতেন কিষানকুমার। সেই রুম থেকেই তাঁর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয় বৃহস্পতিবার রাতে। ডাক্তারি পাশ করে বের হওয়ার কয়েক মাস আগে কেন ওই মেডিক্যাল ছাত্রের অস্বাভাবিক মৃত্যু হল তা নিয়ে রহস্য দানা বাঁধে। 


    পুলিস ঘটনার তদন্তে নেমে কোচবিহার শহরের এক যুবতীর সন্ধান পায়। যাঁর সঙ্গে কিষানকুমারের প্রেমের সম্পর্ক ছিল বলে তদন্তকারী অফিসারদের দাবি। ওই যুবতীকে ডেকে জিজ্ঞাসাবাদও করে পুলিস। শুক্রবার ওই যুবতী ফিনাইল খেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন। তারপর থেকে তিনি মেডিক্যালে চিকিৎসাধীন। এদিকে, তদন্ত এগতেই সামনে আসে ওই যুবতীর সঙ্গে কিষানকুমারের আইনি মতে বিয়েও হয়েছিল। আর এখান থেকেই বিষয়টি অন্যদিকে মোড় নেয়। পরিবারের সদস্যদের দাবি, তাঁরা কিষানের রেজিস্ট্রি বিয়ে সম্পর্কে কিছুই জানেন না। তাহলে কি সম্পর্কের টানাপোড়েনের জেরেই ওই ইন্টার্ন এমন একটা পথ বেছে নিলেন? না কি অন্য কোনও রহস্য লুকিয়ে আছে? যদিও পরিবারের সদস্যরা কিষানের মৃতদেহ বিহারে নিয়ে যাওয়ার আগে খুনের অভিযোগ দায়ের করে গিয়েছেন।  প্রিন্সিপালের নামে সেই পোস্টার। - নিজস্ব চিত্র।
  • Link to this news (বর্তমান)