• পরীক্ষার আগে ঘণ্টার পর ঘণ্টা ফোনে ব্যস্ত, বকেছিলেন মা, খোঁজ মিলছে না অষ্টম শ্রেণির পড়ুয়ার ...
    আজকাল | ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
  • মিল্টন সেন, হুগলি:  সামনে বার্ষিক পরীক্ষা। তার আগে ঘণ্টার পর ঘণ্টা ফোনে চোখ মেয়ের। দেখে বকেওছিলেন মা। তারপর থেকেই খোঁজ মিলছে না স্কুল পড়ুয়ার। মেয়ের খোঁজে হন্যে পরিবার। অভিযোগ দায়ের করেছে চন্দননগর থানায়। 

     সামনে বার্ষিক পরীক্ষা  তার আগে ঘন্টা পর ঘন্টা মোবাইল নিয়ে বসে থাকায় মা বকাবকি করেছিলেন।বিকালে মায়ের চোখ একটু লেগে আসতেই দরজায় বাইরে থেকে হ্যাজবোল্ড টেনে বাড়ি থেকে বেরিয়ে যায় মেয়ে।

    চন্দননগর ছবিঘরের বাসিন্দা কনক ও ইদ্রানী মুখোপাধ্যায়ের মেয়ে কৌশাণী মুখোপাধ্যায়। চন্দননগর সেন্ট জোসেফ কনভেন্টের অষ্টম শ্রেণির ছাত্রী। ঘটনার দিন স্কুলে না যাওয়ায় বাড়িতেই ছিল সে। কিন্তু প্রায় সারাক্ষণ নজর ছিল মোবাইল ফোনের দিকে। পরিবার সূত্রের খবর, মেয়েকে ফোন ঘাঁটতে দেখে বকাবকি করেছিলেন মা। মোবাইল কেড়েও নেন। 

    পরিবার সূত্রের খবর, বিকেল সাড়ে চারটা নাগাদ বাড়ি থেকে বেরিয়ে যায় পড়ুয়া, যাওয়ার আগে তার মা যে ঘরে ছিলেন, ওই ঘরের দরজা বন্ধ করে দিয়ে যায় বলেও জানা গিয়েছে।  চন্দননগর শহরে সর্বত্র খোঁজ খবর করেও রাত পর্যন্ত পড়ুয়ার সন্ধান মেলেনি। পুলিশ একটি অপহরণ মামলা রুজু করেছে বলেও জানা গিয়েছে। তদন্তে নেমে পুলিশ শহরের বিভিন্ন জায়গার সিসিটিভি খতিয়ে দেখছে। তার দাদাকে সঙ্গে নিয়ে শহরের একাধিক জায়গায় তল্লাশি চালায়। ট্রেনে করে অন্যত্র চলে যেতে পারে, সেই অনুমানে  জিআরপিকে নিখোঁজের খবর জানানো হয়েছে। কথা বলা হচ্ছে তার বন্ধুদের সঙ্গেও। 

    ছাত্রীর মা ইদ্রানী জানিয়েছেন, ‘সামনে ফাইনাল পরীক্ষা।বা ড়িতে শুধু মোবাইল নিয়ে বসে থাকে মেয়ে। পড়াশোনায় অমনোযোগী হয়ে পড়ছিল। তা নিয়ে একটু বকেছিলাম। মোবাইল কেড়ে নিয়ে ছিলাম। তার জন্য বাড়ি থেকে বেরিয়ে গেল। কোথায় গেল বুঝে উঠতে পারছি না। ওর বন্ধুদের জিজ্ঞাসা করেছি, কেউ বলতে পারছে না।‘ 

    ছাত্রীর বাবা বলছেন, ‘এক সপ্তাহ পর পরীক্ষা। স্কুলে না গিয়ে মোবাইল দেখছিল তাই আমিও বলেছিলাম বই সব ফেলে দেব। তারপর দুপুরে একসঙ্গে খাওয়া দাওয়াও হল। আমি বিকেলে বেরিয়েছিলাম কেনাকাটা করতে। দোতলায় ছেলে ছিল। সে নীচে নেমে দেখে দরজা খোলা।‘
  • Link to this news (আজকাল)