• ‘ওর পুরুষাঙ্গর উপর আমার খুব রাগ, তাই কুপিয়ে দিই’, দত্তপুকুরে যুবক খুনে ক্ষোভ উগরে দিল ধৃত
    প্রতিদিন | ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
  • অর্ণব দাস, বারাসত: একটা মুন্ডুহীন দেহ উদ্ধার ঘিরে রহস্যের পরত ক্রমশ খুলছে। দত্তপুকুরের ছোট জাগুলিয়ার চাষের খেত থেকে মুন্ডুহীন দেহ উদ্ধারের প্রায় ১৫ দিন পর পাওয়া গেল মুন্ডু। সেইসঙ্গে ধৃতের স্বীকারোক্তি থেকে হত্যাকাণ্ডের যা বিবরণ পাওয়া গেল, তাতে রীতিমতো চোখ কপালে দুঁদে পুলিশ অফিসারদের। তাঁদের কথায়, এটা কল্পনাতীত! কেন শত্রুর পুরুষাঙ্গ, মুন্ডু কেটে গোপন করে রাখা হয়েছিল, তার বিস্তারিত বিবরণ দিয়েছে ধৃত জলিল গাজি। আর এসব বলার সময়ে তার আক্রোশ যেন ফেটে পড়েছে। স্ত্রীর সঙ্গে নিহত হজরতের যৌন সম্পর্কের কথা জানতে পেরেই এত রাগ তার। জলিলের স্বীকারোক্তি, ”ওর ওটার (পুরুষাঙ্গ) উপর খুব রাগ ছিল, অনেক জ্বালিয়েছে, কুপিয়ে দিয়েছি।”

    চুরি করা সোনার ভাগ বাটোয়ারা, চুরির ঘটনায় বাংলাদেশি লিঙ্কম্যানকে পুলিশে ধরিয়ে দেওয়া-সহ নানা ‘অপরাধ’ হজরত লস্করকে টেনে নিয়ে গিয়েছে মৃত্যুর পথে, শত্রুদের হাতে নৃশংসভাবে প্রাণ দিতে হয়েছে। ঘটনায় মূল অভিযুক্ত জলিলকে জম্মু থেকে গ্রেপ্তারির পর জেরায় নানা তথ্য পেয়েছিলেন তদন্তকারীরা। কিন্তু রাত পোহাতেই যা হাতে এল, তা ছাপিয়ে গেল সব কিছুকেই! মঙ্গলবার সকালে ঘটনার পুনর্নির্মাণের আগে সাংবাদিকদের ক্যামেরা দেখে পুলিশের সামনে কার্যত ভেঙে পড়ে হত্যাকাণ্ডের অন্যতম অভিযুক্ত জলিল। জানিয়ে দেয় খুনের আসল মোটিভ।

    নিহত হজরতের সঙ্গে জলিলের স্ত্রীর সুফিয়ার বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক তৈরি হয়েছিল। সে সম্পর্কে ঘনিষ্ঠতাও ছিল। জলিল তা জেনে প্রথমে নাকি মেনেই নিয়েছিল। পরে স্ত্রীর সঙ্গে হজরতের সম্পর্কের অবনতি হয়। তার কারণ, হজরতের অস্বাভাবিক যৌন চাহিদা। জানা গিয়েছে, হজরত নাকি ওষুধ খেয়ে এসে জলিলের স্ত্রীর সঙ্গে যৌনতায় মেতে উঠত। স্বাভাবিকভাবে তা পছন্দ ছিল না সুফিয়ার। সেই বিষয়টা জানিয়েছিলেন জলিলকে। জলিল তা নিয়ে হজরতকে বারণও করেছিল। কিন্তু তা শোনেননি হজরত। সুফিয়ার সঙ্গে জোর করেই ঘনিষ্ঠ হতো। এদিন পুলিশের উচ্চপদস্থ কর্তাদের মুখোমুখি হয়ে সেসব জানিয়ে দিয়েছে জলিল।
  • Link to this news (প্রতিদিন)