• ‘‌আদালতের নজরদারি না থাকলে সার্কিট বেঞ্চ নীল–সাদা করতেন’‌, তোপ প্রধান বিচারপতির
    হিন্দুস্তান টাইমস | ২০ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
  • বাংলার বাতিস্তম্ভ থেকে সেতু এবং সড়ক থেকে ভবন নীল–সাদা রঙ দেখতে পাওয়া যায়। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রিয় রঙ নীল–সাদা। এমনকী এখন তা রাজ্যের রঙ হিসাবে ফুটে উঠেছে। কিন্তু এই রঙের বিরুদ্ধেও আছেন বহু মানুষ। যাঁরা এই নীল–সাদা আকাশি রঙ পছন্দ করেন না। তাই নীল সাদা রঙ নিয়ে দায়ের হয় একটি জনস্বার্থ মামলা। এই মামলার শুনানিতে কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির বড় প্রশ্নের মুখে পড়লেন রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনারেল। তাতে অস্বস্তি বাড়লেও তেমন কোনও বড় কিছু ঘটেনি।

    একদা বামফ্রন্ট সরকার যখন এই রাজ্যে ক্ষমতায় ছিল তখন সরকারি ভবনগুলি লাল ছিল। যদিও তা নিয়ে এমন জনস্বার্থ মামলা হয়নি। বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলিতে সব গেরুয়া করে দেওয়া হয়েছে। এমনকী বাংলায় কিছু ক্ষেত্রে এমন রঙ করতে হবে বলে কেন্দ্রীয় সরকারের কাছ থেকে ফতোয়াও পেয়েছিল রাজ্য সরকার। কিন্তু এমন জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয়নি। তবে এই নীল–সাদা রঙ নিয়ে জনস্বার্থ মামলায় প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনারেলের উদ্দেশে বলেন, ‘‌ভাগ্যিস জলপাইগুড়ি সার্কিট বেঞ্চ হাইকোর্টের নজরদারিতে হচ্ছিল, না হলে ওখানেও তো আপনারা নীল–সাদা রঙ করে দিতেন!’‌


    প্রধান বিচারপতির এমন মন্তব্য ভরা এজলাসে পিন পড়ার নীরবতা তৈরি হয়। আর এই মন্তব্যেই অস্বস্তি তৈরি হয়। বাংলায় সমস্ত সরকারি অফিসের রঙ নীল–সাদা। বাংলার বাড়ি প্রকল্পে যেসব বাড়ি তৈরি হচ্ছে তার রঙও নীল–সাদা। এমনকী ট্রাফিক গার্ডের গার্ডওয়ালেও নীল–সাদা রঙ দেখা যায়। আর এই রঙ নিয়েই আজ, বৃহস্পতিবার কলকাতা হাইকোর্টে একটি জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয়। তবে আবেদনকারীর আবেদন পত্রে ট্রাফিক সংক্রান্ত ওই মামলার ছবি নিয়ে বিতর্ক থাকায় আদালত আবেদনটি গ্রহণ করেনি। তবে ওই মামলার সূত্র ধরেই রাজ্যকে নানা প্রশ্নে বিঁধেছেন প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম।

    এই জনস্বার্থ মামলার মামলাকারীর অভিযোগ, কলকাতা বিমানবন্দর থেকে কলকাতায় প্রবেশ করা এবং শহরের নানা রাস্তার গার্ডরেল যে নীল–সাদা রঙ করা হয়েছে সেটার জেরে রাতের শহরে পথ দুর্ঘটনা বাড়ছে। কারণ, অন্ধকারে ওই নীল–সাদা রঙটা গাড়ির চালকরা সঠিকভাবে বুঝতে পারেন না। সেক্ষেত্রে হলুদ বা সাদা–কালো রঙ করা হলে তা চালকদের পক্ষে সুবিধাজনক হয়। এতে পথ দুর্ঘটনা কমবে। যদিও কলকাতা হাইকোর্টের পর্যবেক্ষণ, আমাদের নতুন করে কিছু বলার নেই। তবে ছবি সংক্রান্ত সমস্যা থাকায় আবেদনকারীকে আবার আদালতে আবেদন জমা করার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধান বিচারপতি। আগামী সপ্তাহে ওই মামলার শুনানি হবে।
  • Link to this news (হিন্দুস্তান টাইমস)