• কম্বলে মোড়া মা-মেয়ে, খাটের নিচে ছেলে! ৩ রক্তাক্ত দেহ! বীরভূমেও ট্যাংরার ছায়া...
    ২৪ ঘন্টা | ২১ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
  • প্রসেনজিত্‍ মালাকার: ট্যাংরাকাণ্ডে পরতে পরতে বেরোচ্ছে রহস্য। তদন্তে নাজেহাল পুলিস। এরই মধ্যে ট্যাংরার ছায়া বীরভূমে। বীরভূমের মহম্মদবাজার ও মল্লারপুর থানার সীমানায় রয়েছে ম্যানেজার পাড়া। সেখানে থাকতেন লক্ষ্মী মাড্ডি (২৫)। দুই সন্তান রূপালি (১০) ও অভিজিৎ (৮)-কে নিয়ে থাকতেন তিনি। তাঁর স্বামী লালটু কর্মসূত্রে দুর্গাপুরে থাকতেন। শুক্রবার সকালে প্রতিবেশীরা ভয়ংকর দৃশ্য দেখেন। 

    দেখা যায়, ঘরে খাটিয়ার উপর পড়ে লক্ষ্মী ও রূপালির কম্বল জড়ানো দেহ। খাটিয়ার নিচে পড়েছিল ৮ বছরের অভিজিতের দেহ। তিনজনের মাথাতেই মিলেছে আঘাতের চিহ্ন। সঙ্গে সঙ্গে প্রতিবেশীরা খবর দেয় থানায়। ঘটনাস্থলে গিয়েই ব্য়াপক ক্ষোভের মুখে পড়েন পুলিস আধিকারিকরা। স্থানীয়দের দাবি, তিনজনকে খুনই করা হয়েছে। ঘটনার সঙ্গে যে বা যারা জড়িত তাঁদের গ্রেফতার করতে হবে। নাহলে দেহ উদ্ধার করতে দেওয়া হবে না। রীতিমতো উত্তপ্ত হয়ে ওঠে এলাকা।

    পুলিস সুপার আমনদীপ স্থানীয়দের বলেন,  'আগে দেহ উদ্ধার হোক। তারপরই তদন্ত শুরু হবে। অভিযুক্তদের শীঘ্রই ধরা হবে।' কিন্তু তা মানতে নারাজ স্থানীয়রা। কিন্তু ঠিক কীভাবে মৃত্যু? কেন এই ঘটনা? নেপথ্যে কে? প্রাথমিকভাবে পুলিস মনে করছে, ভারী বস্তু দিয়ে আঘাত করে খুন করা হয়েছে তিনজনকেই। কিন্তু কেন, তা এখনও ধোঁয়াশা। ইতিমধ্যেই মৃতের স্বামীকেও খবর দেওয়া হয়েছে। অবিলম্বেই রহস্যভেদ হবে বলে আশাবাদী পুলিস।

    উল্লেখ্য, অন্য়দিকে ১৮ ফেব্রুয়ারি সকালে পাওনাদারদের ডাকার উদ্যেশ্য কী? শুধুই কি মৃত্যুর খবর যাতে সবার কাছে পৌঁছয় সেই উদ্দেশ্য? ট্যাংরার অতুল শূর রোডে ২ মহিলা ও এক নাবালিকার মৃত্যুর ঘটনায় রহস্য ও ধোঁয়াশা বেড়েই চলেছে। 

     

  • Link to this news (২৪ ঘন্টা)