সরকারি সহায়ক মূল্যে ধান ক্রয়ে অনিয়মের অভিযোগ, সরব ভিক্টর
বর্তমান | ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
সংবাদদাতা, ইসলামপুর: সরকারি সহায়ক মূল্যে ধান কেনার ক্ষেত্রে উত্তর দিনাজপুর জেলায় বড়সড় অনিয়মের অভিযোগে সরব হয়েছেন চাকুলিয়ার প্রাক্তন বিধায়ক আলি ইমরান রমজ ওরফে ভিক্টর। সোশ্যাল মিডিয়ায় লাইভে এসে তিনি ধান কেনায় অনিয়ম হয়েছে বলে অভিযোগ তুলেছেন। এবিষয়ে জেলাশাসক ও মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ই-মেলে লিখিত অভিযোগ পাঠিয়েছেন বলে দাবি ভিক্টরের। প্রদেশ কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক ভিক্টর জানান, গতবছর জেলায় আড়াই লক্ষ মেট্রিক টন ধান কেনার লক্ষমাত্র পূরণ করার জন্য নভেম্বর থেকে জুলাই পর্যন্ত চাষিদের কাছ থেকে ধান কিনেছে সংশ্লিষ্ট দপ্তর। এবার ধান কেনার লক্ষমাত্রা বাড়িয়ে ৩ লক্ষ মেট্রিক টন করা হয়েছে। ক্রয় প্রক্রিয়া শুরু হয়েছিল গত নভেম্বরে। জানুয়ারি মাসের মাঝেই ধান কেনা বন্ধ হয়ে যায়।
ভিক্টরের প্রশ্ন, ডিসেম্বর-জানুয়ারি পর্যন্ত জেলার চাষিদের একাংশের ধান জমিতেই ছিল। চাষিদের ফসল উঠলই না, এদিকে ধান কেনার লক্ষমাত্রা পূরণ হয়ে গেল কীভাবে? খাদ্য ও খাদ্য সরবরাহ দপ্তর এত পরিমাণ ধান কাদের কাছ থেকে কিনল?
কংগ্রেস নেতার অভিযোগ, রাইস মিল মালিকদের কাছ থেকে চাল কিনে সরকারি গোডাউন ভর্তি করা হয়েছে। রাইস মিল কর্তৃপক্ষ, প্রশাসন এবং জনপ্রতিনিধিদের যোগসাজশে কয়েকশো কোটি টাকার দুর্নীতি হয়েছে। ফলে বহু চাষি সহায়ক মূল্যে ধান বিক্রি করার সুবিধা থেকে বঞ্চিত হয়েছেন। গোটা বিষয়টি নিয়ে তদন্তের দাবি তুলেছেন তিনি।
ভিক্টরের অভিযোগ ভিত্তিহীন দাবি করে জেলা পরিষদের খাদ্য কর্মাধ্যক্ষ নার্গিস বেগম বলেন, এবার সহায়ক মূল্যে ধান ক্রয়ের জন্য সিপিসির সংখ্যা বাড়ানো হয়েছিল। মোবাইল সিপিসির মাধ্যমে ধান কেনা হয়েছে। সেইসঙ্গে বিভিন্ন সোসাইটির মাধ্যমেও ধান কেনা হয়েছে। ফলে অল্প সময়ের মধ্যে লক্ষমাত্রা পূরণ হয়েছে। খাদ্য ও সরবরাহ দপ্তরের ডিস্ট্রিক্ট কন্ট্রোলার সঞ্জীব হালদারকে ফোন করা হলে অভিযোগ শুনে ফোন কেটে দেন। পরে আর ফোন তোলেননি। মেসেজেরও উত্তর দেননি।
চাষিরা বলছেন, জানুয়ারির মাঝামাঝি হঠাৎ সিপিসি বন্ধ করে দেওয়া হয়। বহু চাষি ধান বিক্রির জন্য অনলাইনে রেজিস্ট্রেশন করে রেখেছিলেন। নির্দিষ্ট তারিখে সিপিসিতে বিক্রি করতে এসেও ধান নিয়ে ফেরত যেতে হয়েছে তাঁদের। এতে ভাড়া বাবদ আর্থিক ক্ষতি হয়েছে। সরকারি মূল্যে ধান বিক্রি করতে না পেরে স্থানীয় বাজারে কমদামে ধান বিক্রি করতে বাধ্য হচ্ছেন চাষিরা।