আজকাল ওয়েবডেস্ক: বকেয়া টাকা চাওয়াকে কেন্দ্র করে বচসা। তার জেরে এক ফেরিওয়ালাকে মেরে দেহ ছাদে লুকিয়ে রাখার অভিযোগ উঠল যুবকের বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর ২৪ পরগনার সোদপুর সুখচর বাজারপাড়া এলাকায়। পুলিশ জানিয়েছে, মৃত যুবকের নাম আক্রম আলি। তাঁর বাড়ি কামারহাটিতে। ঘটনায় জড়িত অভিযোগে পুলিশ চিরাগ গুহ নামে এক যুবককে গ্রেপ্তার করেছে।
পুলিশও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, কামারহাটির বাসিন্দা আক্রম প্রতিদিন সুখচর এলাকায় লোহা ও টিন ভাঙা কিনতে আসতেন। দীর্ঘদিন ওই এলাকায় যাতায়াতের ফলে চিরাগ গুহ নামে এক যুবকের সঙ্গে তাঁর পরিচয় হয়। মাস তিনেক আগে চিরাগ তাঁর কাছ থেকে আড়াই হাজার টাকা ধার নিয়েছিল। কিন্তু সময় পেরিয়ে গেলেও সে টাকা ফেরত দিচ্ছিল না। সপ্তাখানেক আগে চিরাগের সঙ্গে ধারের টাকা নিয়ে আক্রমের বচসা হয়।
রবিবার সকালে আক্রম পাওনা টাকা চাইতে চিরাগের বাড়িতে গিয়েছিলেন। তখন দু'জনের মধ্যে ফের বচসা হয়। অভিযোগ, চিরাগ আক্রমকে ঘরের মধ্যে আটকে রেখে বেধড়ক মারধর করে। আক্রমের আর্তচিৎকার শুনে প্রতিবেশীরা ছুটে আসেন। তখন চিরাগের বাড়ির দরজা ভিতর থেকে বন্ধ ছিল। বাসিন্দারা চিৎকারের কারণ জানতে চাইলে চিরাগের মা তাঁদের বলেন, ছেলেকে কুকুরে কামড়েছে। তাই চিৎকার করছে। পড়শিরা তখন ফিরে যান। রাত থেকে চিরাগের মা নিখোঁজ হয়ে যান। বিষয়টা প্রতিবেশীদের কাছে সন্দেহজনক মনে হয়। সোমবার সকাল থেকে ওই বাড়ি থেকে দুর্গন্ধ ছড়াতে থাকে। বাসিন্দারা তখন পুলিশকে খবর দেন। পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে ওই বাড়ির ছাদ থেকে আক্রমের নিথর দেহ উদ্ধার করে। মৃতদেহের গলায় ও মুখে লোহার তার প্যাঁচানো ছিল। পুলিশ ওই বাড়ির যুবক চিরাগকে গ্রেপ্তার করে।
পড়শিরা জানিয়েছেন, বকেয়া টাকা নিয়ে চিরাগ ও আক্রমের মধ্যে কয়েকদিন ধরে ঝগড়া চলছে। রবিবার সকালে আক্রমকে তাঁরা ওই বাড়িতে ঢুকতে দেখেছিলেন। কিছুক্ষণ পরে বাড়ির ভিতর থেকে আক্রমের আর্তচিৎকারও শুনেছিলেন। কিন্তু চিরাগের মা মিথ্যে কথা বলে বিষয়টি ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করেছেন। বাসিন্দাদের দাবি, ঘটনার তদন্ত করে দোষীদের বিরুদ্ধে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া হোক।