• ডাক্তারদের বেতন বাড়ছে! সর্বোচ্চ ১৫,০০০ টাকা, কাদের কত লাভ? তালিকা প্রকাশ মমতার
    হিন্দুস্তান টাইমস | ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
  • পশ্চিমবঙ্গের সব চিকিৎসকদের বেতন এবং ভাতা বৃদ্ধি পাচ্ছে। ঘোষণা করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সোমবার ধনধান্য প্রেক্ষাগৃহে রাজ্যের সিনিয়র ও জুনিয়র চিকিৎসক এবং মেডিক্যাল পড়ুয়াদের নিয়ে আয়োজিত বিশেষ সভায় মুখ্যমন্ত্রী জানান, সর্বস্তরের চিকিৎসকদের বেতন এবং ভাতা বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সেই তালিকায় যেমন ইন্টার্ন, হাউসস্টাফ, পোস্ট গ্র্যাজুয়েট ট্রেনি, পোস্ট ডক্টরেট ট্রেনিরা আছেন; তেমনই আছেন ডিপ্লোমাধারী সিনিয়র রেসিডেন্ট ডাক্তার, পোস্ট-গ্র্যাজুয়েট সিনিয়র রেসিডেন্ট ডাক্তার, পোস্ট ডক্টরেট সিনিয়র রেসিডেন্ট ডাক্তাররা আছেন। তবে নয়া বেতন কবে থেকে কার্যকর হবে, সে বিষয়ে মুখ্যমন্ত্রী বিস্তারিতভাবে কিছু জানাননি।

    ১) ইন্টার্ন, হাউসস্টাফ, পোস্ট-গ্র্যাজুয়েট ট্রেনি, পোস্ট ডক্টরেট ট্রেনিদের বেতন ১০,০০০ টাকা বাড়ানো হচ্ছে। 

    ২) সর্বস্তরের সিনিয়র রেসিডেন্ট ডাক্তারদের বেতন ১৫,০০০ টাকা বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। 

    ৩) এতদিন ডিপ্লোমাধারী সিনিয়র রেসিডেন্ট ডাক্তাররা মাসে বেতন পেতেন ৬৫,০০০ টাকা। যা বেড়ে ৮০,০০০ টাকায় ঠেকল। 

    ৪) আবার পোস্ট গ্র্যাজুয়েট সিনিয়র রেসিডেন্ট ডাক্তারদের মাসিক বেতন ছিল ৭০,০০০ টাকা। সেটা বাড়িয়ে ৮৫,০০০ টাকা করা হল। 

    ৫) পোস্ট ডক্টরেট সিনিয়র রেসিডেন্ট ডাক্তারদের মাসিক বেতন বেড়ে এক লাখ টাকা হবে বলে জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।


    আর এমন একটা সময় রাজ্য সরকারের সর্বস্তরের সমস্ত ডাক্তারদের বেতন বৃদ্ধির ঘোষণা করা হল, যখন মহার্ঘ ভাতার দাবিতে রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের একাংশ নবান্নের বিরুদ্ধে উষ্মাপ্রকাশ করেছেন। পশ্চিমবঙ্গের রাজ্য সরকারি কর্মচারীরা এখন ষষ্ঠ বেতন কমিশনের আওতায় ১৪ শতাংশ মহার্ঘ ভাতা পাচ্ছে। এবারের বাজেটে আরও চার শতাংশ ডিএ বৃদ্ধির ঘোষণা করা হয়েছে। সেই সিদ্ধান্তের ফলে ২০২৫ সালের ১ এপ্রিল থেকে তাঁরা ১৮ শতাংশ হারে মহার্ঘ ভাতা পাবেন। 


    তারইমধ্যে ডাক্তারদের প্রাইভেট প্র্যাকটিস করা নিয়েও মুখ্যমন্ত্রী পরামর্শ দিয়েছেন। তিনি জানিয়েছেন যে সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসকদের ন্যূনতম আট ঘণ্টা পরিষেবা দিতে হবে। সেইসময় কোনওরকম গাফিলতি বরদাস্ত করা হবে না। সরকারি পরিষেবা প্রদানের পরে বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা করতে পারেন। তাতে রাজ্য সরকারের কোনও আপত্তি নেই। 


    কিন্তু আগে সরকারি হাসপাতালে পরিষেবা দিতে হবে, তারপর বেসরকারি হাসপাতালে প্র্যাকটিস করা যেতে পারে বলে স্পষ্টভাবে জানি দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। এমনকী মুখ্যমন্ত্রী এটাও জানিয়েছেন, প্রাইভেট প্র্যাকটিসের জায়গায় আসা কোনও রোগীকে সরকারি হাসপাতালে ডেকেও চিকিৎসা করাতে পারেন ডাক্তাররা।
  • Link to this news (হিন্দুস্তান টাইমস)