• অন্য কেউ নয়, ট্যাংরায় দুই স্ত্রী ও কিশোরীর হত্যাকাণ্ডে যুক্ত দাদা-ভাই-ই, জানাল পুলিশ
    প্রতিদিন | ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
  • অর্ণব আইচ: ট্যাংরায় দুই স্ত্রী ও কিশোরীর হত্যাকাণ্ডে যুক্ত দাদা ও ভাই। ঘটনায় অন্য কেউ জড়িত নয়। সাংবাদিক বৈঠকে এই কথাই জানাল পুলিশ। অভিযুক্তরা এনআরএস হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেলে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হবে। এদিকে দে পরিবারের কিশোরের দায়িত্ব নিতে কেউ এগিয়ে আসেননি। আইন অনুযায়ী, তার দেখভালের ব্যবস্থা করা হবে বলে জানিয়েছেন কলকাতা পুলিশের কমিশনার মনোজ বর্মা।

    গত ১৮ ফেব্রুয়ারি সকালে বাড়ির দুই স্ত্রী সুদেষ্ণা, রোমি ও কিশোরী কন্যাকে খুন করা হয়। এরপর বাড়ির দুই ছেলে প্রণয় দে ও প্রসূন দে তাঁদের দুই স্ত্রী ও কিশোরী মেয়ের দেহ নিয়েই সারাদিন বাড়িতে ছিলেন। তারপর গাড়ি নিয়ে বেরিয়ে পড়েন। তাঁদের গাড়ি দুর্ঘটনার কবলে পড়লে পুলিশ মৃতদেহগুলির কথা জানতে পারে।

    প্রথম থেকেই সন্দেহের তির গিয়ে পড়ে দুই ভাইয়ের উপর। বিভিন্ন তথ্য প্রমাণ থেকে পুলিশের দাবি, এই হত্যাকাণ্ডে যুক্ত রয়েছেন দুই ভাই। বাড়ির বড় ছেলে প্রণয় দে তাঁর বয়ানে সে কথা স্বীকার করেছেন বলে দাবি পুলিশের। তদন্তকারীদের দাবি, তিনি পুলিশকে জানিয়েছেন যে, তাঁর ভাই প্রসূনই হাতের শিরা কেটে ঘুমন্ত অবস্থায় খুন করেছেন তাঁর স্ত্রী সুদেষ্ণা ও প্রসূনের স্ত্রী রোমিকে। এমনকী, প্রসূন তাঁর ছেলের হাতও কাটার চেষ্টা করেন। একই বয়ান দিয়েছে প্রণয়ের ছেলে প্রতীপও। কাকা প্রসূনের দিকেই আঙুল তুলেছে সে। এদিকে হাসপাতালের বেডে শুয়ে প্রসূনের বক্তব্য, “আমি কিছু করিনি। কী হয়েছে জানি না। এভাবে পুলিশের জেরার মুখে পড়তে হবে জানলে মরার অন্য পথ বেছে নিতাম।”

    এদিন সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে কলকাতা পুলিশের কমিশনার মনোজ বর্মা বলেন, “এই ঘটনায় দাদা-ভাই যুক্ত। অন্য কেউ নয়। ওদের বাচ্চাটির দায়িত্ব কেউ নেননি। আমরা আইনি পথে সব চেষ্টা করব।”
  • Link to this news (প্রতিদিন)