নিজস্ব প্রতিনিধি, বিধাননগর: ফের বেআইনি নির্মাণ। এবার বাগুইআটিতে ৬টি বেআইনি বহুতল চিহ্নিত করল বিধাননগর পুরসভা। শুধু তাই নয়, অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপের জন্য বাগুইআটি থানায় অভিযোগ দায়ের করেছে পুরসভা। তার ভিত্তিতে ওই ৬টি বহুতলের প্রোমোটারদের নোটিস দিল পুলিস। মঙ্গলবার বাগুইআটি থানার পক্ষ থেকে ওই নোটিস জারি করা হয়েছে। বেআইনি নির্মাণের গায়েও নোটিস সাঁটানো হয়েছে। আগামী ২৭ ফেব্রুয়ারি তাঁদের থানায় হাজির হতে বলা হয়েছে। পুরসভার দাবি, বেআইনি নির্মাণ বরদাস্ত করা হবে না। যে কোনও ধরনের বেআইনি নির্মাণ বন্ধ করতে লাগাতার অভিযান চলবে। প্রতিটি বরো এলাকায় বিশেষ নজরদারি শুরু হয়েছে।
বিধাননগর পুরসভা এলাকায় অসংখ্য বহুতল তৈরি হচ্ছে। তার মধ্যে বহু বেআইনি বহুতল সামনে এসেছে। বেআইনি নির্মাণের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে পুরসভা বছর দু’য়েক আগে একটি বিশেষ টিম গঠন করেছিল। গার্ডেনরিচ কাণ্ডের পর বিধাননগর পুরসভার ৬টি বরোতে ছ’টি বিশেষ টিম তৈরি করা হয়েছে। প্রতিটি টিমের নেতৃত্বে রয়েছেন একজন করে সাব-অ্যাসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়ার। পুরসভার অনুমতি নিয়ে এবং নিয়ম মেনে নির্মাণ হচ্ছে কি না, অভিযোগের ভিত্তিতে যেসব ক্ষেত্রে কাজ বন্ধ করে দিয়েছে পুরসভা, সেখানে আইন লঙ্ঘন করে কেউ নির্মাণ করছে কি না, এ সবের উপরেও নজর রাখা হচ্ছে। গত এক বছরে দেড়শোর বেশি বিল্ডিংয়ের নির্মাণকাজ বন্ধ করার নোটিস দিয়েছে পুরসভা।
স্থানীয়দের অভিযোগ, কয়েকজন অসাধু নেতার মদতেই এই বেআইনি নির্মাণ হচ্ছে। পুরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে, বহু জায়গায় বাড়ির নকশা মেনে কাজ হচ্ছে না। কেউ নকশার বাইরে গিয়ে তল বাড়িয়ে নিচ্ছে। বাগুইআটির ক্ষেত্রেও এই ধরনের ঘটনা সামনে এসেছে। যে ছ’টি বহুতল নজরে এসেছে, তার মধ্যে একটিতে আবাসিকরা চলে এসেছেন। কিন্তু, বেআইনি নির্মাণে কী করে তাঁরা ফ্ল্যাট কিনলেন, তা নিয়ে তদন্ত শুরু হচ্ছে। পুর কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ব্যাঙ্কগুলিকে আগেই জানানো হয়েছে যে, তারা যেন পুরসভায় এসে বিল্ডিংয়ের বৈধ নথিপত্র খতিয়ে দেখে ক্রেতাদের ঋণ দেন। তাতে ক্রেতারাও বিপদে পড়বেন না।
বিধাননগর পুরসভার মেয়র পারিষদ দেবরাজ চক্রবর্তী বলেন, ‘পুরসভা যে এফআইআরগুলি করেছিল, সেইসেব কেসে পুলিস নোটিস পাঠিয়েছে। যে বা যাঁরা বেআইনি নির্মাণ করবেন, তাঁদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করা হবে’।