চোপড়ায় ছিনতাই হওয়া অভিযুক্ত এখনও অধরা, পাঁচ মহিলা গ্রেপ্তার
বর্তমান | ০৩ মার্চ ২০২৫
নিজস্ব প্রতিনিধি, রায়গঞ্জ ও সংবাদদাতা, চোপড়া: ৩৬ ঘণ্টা পরেও পুলিস ভ্যান থেকে ছিনতাই হওয়া অভিযুক্ত মজিবুল রহমানের হদিশ মিলল না। শনিবার দুপুর থেকে দফায় দফায় অভিযান, ধৃতদের জিজ্ঞাসাবাদের পরও মজিবুলের খোঁজ পায়নি পুলিস। স্বাভাবিকভাবে পুলিসের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে বিভিন্ন মহলে।
আগেও একইভাবে অভিযুক্তকে ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটলেও এবার চোপড়ার চুটিয়াখোর গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় নজিরবিহীনভাবে গ্রামবাসীদের একাংশের বাধার মুখে পড়তে হয় চোপড়া থানার পুলিসকে। তবে পলাতক মজিবুল যাতে বাংলাদেশ বা বিহারে পালিয়ে না যায়, সে ব্যাপারে সতর্ক ইসলামপুর পুলিস।
পুলিস সুপার জবি থমাস জানিয়েছেন, ওই ঘটনার পর আটক হওয়া ১১ জনকে শনিবার মধ্যরাত পর্যন্ত জিজ্ঞাসাবাদের পর ৬ জনকে ছেড়ে দেওয়া হয়। বাকি পাঁচ মহিলাকে গ্রেপ্তার করে রবিবারই ইসলামপুর মহকুমা আদালতে হাজির করে পুলিস। ধৃতরা হল মুক্তারা, জ্যোৎস্না, মামুদা, শাহীন বেগম ও সায়রা বানো। ধৃতদের বিরুদ্ধে খুনের চেষ্টা, কর্তব্যরত পুলিসকে সরকারি কাজে বাধা দেওয়া, পুলিসের গাড়ি ভাঙচুর সহ একাধিক ধারায় মামলা রুজু হয়েছে। তাদের চারদিনের জন্য জেল হেফাজতে পাঠায় আদালত। মোট ৩৯ জনের নামে চোপড়া থানার পুলিস স্বতঃপ্রণোদিত মামলা দায়ের করেছে। যার মধ্যে মহিলা ১৫ জন। সেই সঙ্গে পুলিস পলাতক অভিযুক্ত মজিবুলের খোঁজে জোরদার তল্লাশি চালাচ্ছে।
শনিবার অভিযুক্তকে পুলিস ভ্যান থেকে ছিনতাইয়ের পর রবিবার থমথমে ছিল চুটিয়াখোর গ্রাম পঞ্চায়েতের কালিকাপুর গ্রাম। বেশিরভাগ দোকান ছিল বন্ধ। এলাকার বাসিন্দা মোমিনা খাতুন বলেন, পুলিসের অভিযানের ভয়ে এদিন বহু বাড়ি থেকে পুরুষ ও মহিলারা চলে গিয়েছিলেন। গ্রামের রাস্তাঘাটও প্রায় শুনসান।
স্থানীয় সূত্রের খবর, চুটিয়াখোর গ্রাম পঞ্চায়েতের কালিকাপুর গ্রাম থেকেই শনিবার দুপুরে অভিযুক্তকে ছিনিয়ে নেয় গ্রামবাসীদের একাংশ। পুলিস বারবার বারণ করলেও নাছোড় ছিলেন অনেকে। রীতিমতো পুলিস ভ্যানকে ঘিরে চড়াও হয় তারা। ভাঙচুর করা হয় পুলিসের গাড়ি। শেষে অনেকটা সিনেমার কায়দায় মজিবুলকে ছিনিয়ে নেয় তারা। এদিকে এই ঘটনায় আহত সিভিক ভলান্টিয়ারের দাদা আনিসুল রহমান বলেন, এলাকায় কুখ্যাত বলে পরিচিত মজিবুল। ওর ভয়ে প্রকাশ্যে অনেকেই মুখ খোলেন না। পুলিস ওকে ধরতে এলে গ্রামবাসীদের একাংশ ও আত্মীয়স্বজন ওকে ছিনিয়ে নেয়। পুলিসের ওপর চড়াও হয়ে গাড়ি ভাঙচুর করে। শুনশান কালিকাপুর গ্রামের রাস্তাঘাট। - নিজস্ব চিত্র