‘গুন্ডামি চলতে থাকলে যাদবপুরের নাম মাটিতে মিশে যাবে’, হুঁশিয়ারি সায়নীর
প্রতিদিন | ০৮ মার্চ ২০২৫
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: যত কাণ্ড যাদবপুরে! বিশ্ববিদ্যালয়ের ঘটনায় রাজনৈতিক উত্তাপ বেড়েই চলেছে। থামছে না আক্রমণ, পালটা আক্রমণ। এবার যাদবপুর কাণ্ডে বাম- অতিবাম সংগঠনকে হুঁশিয়ারি দিলেন স্থানীয় তৃণমূল সাংসদ সায়নী ঘোষ। তিনি বলেন, “মুখ্যমন্ত্রী অত্যন্ত সহনশীল। সহনশীলতার পরিচয় দিচ্ছেন বলেই যাদবপুরের পুলিশ ঢুকছে না। এমন গুন্ডামি চলতে থাকলে যাদবপুরের নাম মাটিতে মিশতে খুব বেশি সময় লাগবে না।”
সায়নীর মতো চড়া সুর তৃণমূল নেতা মদন মিত্রের গলাতেও। এসএফআইকে ফের তোপ দেগে তিনি বলেছেন, “ঘটনাক্রম যেদিকে যাচ্ছে তাতে এসএফআইয়ের নেতারা বাড়িতে ঢুকতে পারবেন কিনা সহেন্দ।”
যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে নজিরবিহীন অশান্তির পর থেকেই সরব তৃণমূল। শনিবারের ঘটনার পর থেকেই তৃণমূল নেতারা এসএফআইয়ের উদ্দেশে একের পর এক তোপ দেগেছেন। যাদবপুরে শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুর উপর হামলার পরই ঘটনার রাতে পথে নেমেছিল তৃণমূল। সেই মিছিলে হাটেন সায়নী ঘোষও। এবার তাঁর হুশিয়ারি, “মুখ্যমন্ত্রী চাইলে পুলিশ অনেক কিছু করতে পারত। ৩৪ বছরের সিপিএম আমলের গুন্ডারাজ বন্ধ করে দেখিয়ে দিয়েছেন। মুখ্যমন্ত্রী সহনশীলতার পরিচয় দিচ্ছেন বলেই যাদবপুরের পুলিশ ঢুকছে না।”
এদিকে এসএফআইয়ের বিরুদ্ধে ফের তোপ দেগেছেন মদন মিত্র। এসএফআইয়ের বিরুদ্ধে চালিয়ে খেলা হবে স্লোগানের পরিপ্রেক্ষিতে বলেন, “ওরা বলেছে যাদবপুরে পা রাখুক। আমি বলছি পরিস্থিতি যে দিকে যাচ্ছে, আপনারা নিজের বাড়িতে পা রাখতে পারবেন কি না, সেই খবর রাখুন।”
আগেও মদন মিত্র হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছিলেন, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দিকে তাকিয়ে গোটা দল চুপ করে আছে। অরূপ এক মিনিট বলেছে। আমি ৩০ সেকেন্ড বলব। একটা কানে কানে কথা বলার পর, দুটো কান তো খুঁজে পাওয়া যাবে না কথা বলার জন্য।” মুখ খুলেছিলেন অরূপ, রাজ চক্রবর্তীর মতো নেতারাও।