অরূপ লাহা: সাতসকালে এক মহিলার মৃতদেহ উদ্ধার ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়াল পূর্ব বর্ধমানের গলসিতে। মৃত মহিলার নাম সজনী মুর্মু ( ২৮)। স্থানীয় এক ব্যক্তি মাঠে যাবার সময় গলসির পুরন্দগর কলাবাঁধের কাছে পুকুরপাড়ে একটি মহিলাকে গাছে বাঁধা অবস্থায় দেখতে পান। এরপর তিনি আশেপাশের লোকজনকে ডাকেন। তারপর খবর দেওয়া হয় গলসি থানায়।
খবর পেয়ে গলসি থানার পুলিস ঘটনাস্থলে পৌঁছে মহিলাকে উদ্ধার করে পুরষা ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যায়। তবে সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। মৃত মহিলার মা তুর্কি মুর্মু জানান, তার মেয়ের বিয়ে হয় গলসির পোতনা গ্রামে। কিন্তু স্বামী কর্মসূত্রে বাইরে থাকার কারণে মেয়ে তার কাছেই থাকত। সজনী স্থানীয় একটি ধানকলে কাজ করত। গত তিন দিন ধরে সে বাড়ি ফেরেনি। শুক্রবার সন্ধ্যায় বাড়ি ফেরার কথা থাকলেও সে বাড়ি ফেরেনি। এরপর শনিবার সকালে খবর আসে, তার মৃতদেহ গাছে বাঁধা অবস্থায় পাওয়া গিয়েছে।
ময়নাতদন্তের জন্য বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজের পুলিস মর্গে মৃতদেহ পাঠানো হয়। পুলিস ঘটনাস্থল ঘিরে রেখেছে। চলছে এলাকায় পুলিসের টহলদারি। গ্রামবাসীরা অনুমান করছেন ওই মহিলাকে শারীরিক অত্যাচার এবং ধর্ষণ করে খুন করা হয়েছে। সজনী ক্ষেতমজুরের কাজ করার পাশাপাশি স্থানীয় একটি ধানকলে কাজ করতেন বলে জানিয়েছেন মৃতার মা। কে বা কারা এই ঘটনায় জড়িত তার তদন্ত শুরু করেছে গলসি থানার পুলিস।
পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, সজনী মুর্মু স্বামী পরিত্যক্ত ছিলেন। তার দু'বার বিয়ে হয়। প্রথম পক্ষের দুটি সন্তান আছে। আর দ্বিতীয় পক্ষের একটি সন্তান আছে। কীভাবে তার মৃত্যু হয়, তদন্তে পুলিস।