ট্যুরিস্ট গাইড কোর্স চালু করছে রাজ্য পর্যটন দফতর, কেমন করে করা যাবে পাঠ্যক্রম?
হিন্দুস্তান টাইমস | ০৯ মার্চ ২০২৫
শীত–গ্রীষ্ম–বর্ষা সব ঋতুতেই রাজ্যের নানা জায়গায় পর্যটকরা গিয়ে থাকেন। কিন্তু এমন অনেক জায়গা আছে যেখানে গিয়েও সঠিক গাইডের অভাবে অপরিচিত অথচ ঐতিহাসিক স্থান দেখাই হয় না। বাংলায় এখন বিদেশ থেকেও পর্যটকরা আসেন নানা দ্রষ্টব্য স্থান দেখতে। তার সঙ্গে দেশের পর্যটকরা তো আছেই। এই ভ্রমণের নিরিখে ভারতের অষ্টম স্থানে রয়েছে পশ্চিমবঙ্গ। আন্তর্জাতিক পর্যটকদের নিরিখে বাংলার অবস্থান তৃতীয়। সুতরাং বাংলায় বেড়াতে এসে ট্যুরিস্ট গাইডের অভাববোধ করবে পর্যটকরা এটা মেনে নেওয়া যায় না। তাই পর্যটকদের উন্নত পরিষেবা দিতে ট্যুরিস্ট গাইড কোর্স চালু করছে রাজ্য পর্যটন দফতর।
এই খবর প্রকাশ্যে আসার পর অনেকেই উৎসাহ দেখাতে শুরু করেছেন। বিশেষ করে তরুণ প্রজন্ম এই ট্যুরিস্ট গাইডের কোর্স করতে বেশ উৎসাহিত। মানুষজনকে তাঁরা পর্যটনকেন্দ্র ঘুরিয়ে দেখাবেন। যাতে সবটা দেখাও হয় এবং পর্যটকরা প্রতারিত না হন। ট্যুরিস্ট গাইডের কোর্স করে নানা জায়গায় ঘুরে বেড়ানো যাবে। আর এই কোর্স করার জন্য নানা কলেজে চালু হয়েছে সার্টিফিকেট কোর্স। পশ্চিম বর্ধমানের আসানসোলের বনোয়ারিলাল ভালোটিয়া কলেজে চালু হওয়া এই ট্যুরিস্ট গাইড কোর্সে যোগ দিয়েছেন ৭১ জন পড়ুয়া। যা বেশ তাৎপর্যপূর্ণ।
এই ট্যুরিস্ট গাইড কোর্স করে কর্মসংস্থানের একটা দিশা দেখতে পাচ্ছেন বাংলার তরুণ প্রজন্ম। তার সঙ্গে বিষয়টি যথেষ্ট ইন্টারেস্টিং। তাই আগ্রহ বাড়ছে এই পাঠক্রম করার জন্য। এই বিষয়ে জেলা পর্যটন দফতরের অফিসার সুদীপ দাস বলেন, ‘এখানে আগ্রহী যুবক–যুবতীদের জন্য প্রথমে বেসিক কোর্স শুরু করা হল। এটা শেষ করার পরে অ্যাডভান্স ট্যুরিস্ট গাইড কোর্স পড়া যাবে। সেই ব্যবস্থা থাকছে। প্রত্যেকটি ট্যুরিস্ট গাইড কোর্সের সময়সীমা ২১০ ঘণ্টার। প্রশিক্ষণ সঠিকভাবে হয়েছে কিনা তা বুঝতে সরকারি উদ্যোগে পড়ুয়াদের কোনও পর্যটনকেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হবে।’
পড়ুয়ারা ওই পর্যটনকেন্দ্রে গিয়ে দেখাবেন কেমন করে তিনি একজন পর্যটককে সব দিক থেকে সাহায্য করতে পারেন। তথ্য থেকে দ্রষ্টব্য স্থানের ইতিহাস, কোথায় গেলে আর কি কি দেখা যাবে এবং কম খরচে গোটা পর্যটনকেন্দ্রে ঘোরা যাবে। যাবতীয় তথ্য ওই প্রশিক্ষিত ট্যুরিস্ট গাইড দিতে পারছে কিনা দেখা হবে। এই ট্যুরিস্ট গাইড কোর্স শেষে সার্টিফিকেট দেবে পর্যটন দফতর। আর সাফল্যের সঙ্গে পাশ করার জন্য একজন ট্যুরিস্ট গাইডকে দেওয়া হবে একটি ব্লেজার, টুপি এবং হুইসল। আর পর্যটন দফতরের পোর্টালে সার্টিফিকেট প্রাপ্ত ট্যুরিস্ট গাইডদের নাম, মোবাইল নম্বর দেওয়া থাকবে। যাতে কাজের সুযোগ বাড়ে। সুদীপবাবুর বক্তব্য, ‘এই কোর্স পাশ করে তিন বছর যাঁরা কাজ করবেন তাঁদের জন্য ভেটারেন্স ট্যুরিস্ট গাইড কোর্স থাকবে। কাজের সুযোগও থাকবে। বেসিক কোর্স করতে মাধ্যমিক পাশ যোগ্যতা থাকতে হবে। আর অ্যাডভান্স কোর্সের জন্য উচ্চমাধ্যমিক।’