• 'শিক্ষিত বেকার বাড়ছে', তৃণমূলে যোগ দিয়েই বেফাঁস তাপসী মণ্ডল, নিশানা শুভেন্দুকেও
    হিন্দুস্তান টাইমস | ১০ মার্চ ২০২৫
  • শুভেন্দু অধিকারীর গড়ে জোর ধাক্কা। তৃণমূলে যোগ দিলেন বিজেপি বিধায়ক তাপসী মণ্ডল। তবে এবারই প্রথম দলবদল করলেন এমনটা নয়। এর আগে ২০২০ সালে তিনি সিপিএম ছেড়ে এসেছিলেন বিজেপিতে। এবার ২০২৬ সালের বিধানসভা ভোটের আগে সেই তাপসী চলে গেলেন তৃণমূলে। রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মতে, পূর্ব মেদিনীপুরে অধিকারীদের সঙ্গে বিজেপির একাংশের বনিবনা হচ্ছিল। আর সেই সুযোগটা কাজে লাগাল তৃণমূল। 

    তৃণমূলে যোগ দেওয়ার পরে তাপসী মণ্ডল সংবাদমাধ্যমে বলেন, মানুষকে সঙ্গে নিয়ে মানুষের কাজ করাটাই আমাদের কাজ। বিভাজনের রাজনীতি আমার পক্ষে মেনে নেওয়া কঠিন থেকে কঠিনতর হচ্ছিল। বিভিন্নভাবে প্রতিবাদ করার পরেও কোনও সুরাহা হয়নি। বাংলার মাটিতে বিভাজনের রাজনীতি চলছে।   প্রগতিশীল বাংলাকে রক্ষা করতে, বিশেষ করে আমার হলদিয়া, শিল্প পরিকাঠামো, বেকার যুবক যুবতীদের কর্মসংস্থান ও সামাজিক উন্নয়নের লক্ষ্য দাঁড়িয়ে তাদের জন্য় যাতে কাজ করতে পারি মাননীয় মুখ্য়মন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের সঙ্গে যুক্ত হলাম, তাঁর নির্দেশে কাজ করতে পারব। সামগ্রিকভাবে এই বিভাজনের রাজনীতি বন্ধ করে, প্রগতিশীল রাজনীতির প্রেক্ষাপটের রাজনীতি সমস্ত স্তরের মানুষকে সঙ্গে নিয়ে একটা সুন্দর বাংলা তৈরি করব । উন্নয়নের ধারা অব্যাহত থাকবে এই আশা রাখি।

    তিনি বলেন, আমি দেখলাম লোকসভার জায়গায় দাঁড়িয়ে ঐক্যটা ভেঙে দিয়ে বিভাজন তৈরি হচ্ছে। সাধারণ মানুষকে সঙ্গে নিয়ে একসঙ্গে চলার পরিবেশ বিঘ্নিত হচ্ছে। আগেও যখন শুভেন্দু অধিকারীর নেতৃত্বে ছিলাম তখনও কোনও কাজের সুযোগ পেতাম না। বিজেপিতে গিয়েও কোনও কাজের মধ্য়ে যুক্ত হতে পারিনি। শিক্ষিত বেকার প্রতিনিয়ত বাড়ছে। বললেন তাপসী মণ্ডল। 

    তাপসী মণ্ডল বলেন, অভিজিৎ গাঙ্গুলিকে প্রার্থী করেছিলেন শুভেন্দুবাবু। তমলুক লোকসভা কেন্দ্রে ওনাকে বাইরে থেকে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। বাইরে থেকে গিয়ে এলাকার কর্মীদের সঙ্গে, বিধায়কের সঙ্গে বিরোধে জড়িয়ে পড়া স্বাভাবিক পরিবেশ নয়। তাকে সামনে রেখে, তার মধ্যে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করা হচ্ছে। এটাই বাস্তব।  তিনি বলেন বিধায়কের টিকিটের জন্য আমি লালায়িত নই। তিনি বলেন, জিতব কি জিতব না সেটা তো যখন ভোট হবে তখনই বোঝা যাবে। 

    পূর্ব মেদিনীপুরের বিজেপি নেতা শ্য়ামল মাইতিও এদিন তৃণমূলে যোগ দেন। শ্যামল মাইতি বলেন, বেশ কিছুদিন ধরে আমরা বিজেপির মধ্য়ে একটা গোটা বাংলার যা ঐতিহ্য গোটা দেশের যা ঐতিহ্য বৈচিত্রের মধ্য়ে ঐক্য সেই ঐতিহ্য বাংলা বহন করে। বিজেপিতে লক্ষ্য করছি বাংলায় হিংস্র রাজনীতি করা হচ্ছে। বিরোধী দলনেতা একটা হিংস্রতা করার চেষ্টা করছেন। তিনি চাইছেন একটা দাঙ্গা বেঁধে যাক। আমি বলেছি, বিধায়িকা বলেছি, কিন্তু শোনা হয়নি। বাংলায় শান্তির পরিবেশ বজায় রাখতে দিদির নেতৃত্বে, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের নেতৃত্ব, সবে মিলি করি কাজ সেকারণে এখানে এসেছি। 

    তবে তাপসী তৃণমূলে যোগ দেওয়ায় বড় ধাক্কা বিজেপির অন্দরে। শুভেন্দু অধিকারীর গড়ে বড় চাল দিল টিএমসি। এমনটাই মনে করছেন অনেকে। 
  • Link to this news (হিন্দুস্তান টাইমস)