ব্রাত্য বসুর বিষয়ে ‘অতিতৎপর’ পুলিশ, যাদবপুরকাণ্ডে কোন পথে তদন্ত?
হিন্দুস্তান টাইমস | ১২ মার্চ ২০২৫
আদালতের নির্দেশে ইন্দ্রানুজের অভিযোগের ভিত্তিতে এফআইআর করা হয়েছিল। এই আবহে ব্রাত্য বসুর নামে এফআইআর হয়। তবে টিভি৯ বাংলার রিপোর্টে দাবি করা হল, এফআইআর দায়েরের আগেই এই মামলায় বয়ান রেকর্ড করা হয় ব্রাত্য বসুর। এদিকে শিক্ষামন্ত্রীর বাড়ির সামনে পোস্টার পড়েছে। তাতে লেখা - 'ব্রাত্য বসু ওয়ান্টেড ক্রিমিনাল'। এই পোস্টার নিয়ে সিপিএমের উত্তর ২৪ পরগনার জেলা সাধারণ সম্পাদক পলাশ দাসকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে লেকটাউন থানার পুলিশ।
উল্লেখ্য, গত ১ মার্চ অভিযোগ ওঠে, শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুর গাড়ি প্রায় পিষে দিয়েছিল ইন্দ্রানুজকে। একদিকে যেখানে যাদবপুরে ব্রাত্যের 'গাড়িতে ছাত্রের চাপা পড়ার' অভিযোগ মিথ্যে বলে দাবি করছে তৃণমূল। অপরদিকে ইন্দ্রানুজের গাড়ির সামনে পড়ে থাকার দৃশ্য সম্প্রচারিত হয়েছে খবরের চ্যানেলে। সেই ছবি ভাইরাল হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। জানা যায়, ইন্দ্রানুজ বাঁ চোখ ও মাথায় আঘাত পান। উল্লেখ্য, তৃণমূল প্রভাবিত ওয়েবকুপার বার্ষিক সম্মেলনে ব্রাত্য বসু যোগ দিতে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে গিয়েছিলেন ১ মার্চ। সেখানে প্রথম থেকেই গেটে অবরোধ করে রেখেছিলেন পড়ুয়ারা। ছাত্র সংসদের ভোটের দাবিতে বিক্ষোভ দেখাচ্ছিলেন পড়ুয়ারা। পরে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের তিন নম্বর গেট দিয়ে ব্রাত্য বসু প্রবেশ করেছিলেন ক্যাম্পাসে। তবে ক্যাম্পাস থেকে বের হওয়ার সময় ব্রাত্যকে ঘিরে ধরেন আন্দোলনকারীরা। বামপন্থী এবং অতি বাম ছাত্র-ছাত্রীদের বিরুদ্ধে রীতিমতো তাণ্ডব চালানোর অভিযোগ ওঠে।
অভিযোগ উঠেছে, শিক্ষামন্ত্রীর গাড়িতে ইট ছোড়া হয়। ভাঙচুর চালানো হয় পাইলট গাড়ি। শিক্ষামন্ত্রী আহতও হয়েছেন বলে দাবি করা হয়েছে। বিক্ষোভকারীদের পালটা দাবি, মন্ত্রীর গাড়িতে চাপা পড়েছেন এক ছাত্র। তাঁকে গুরুতর আহত অবস্থায় হাসপাতালে ভরতি করা হয়। এদিকে ব্রাত্য বসুও এসএসকেএমে গিয়েছিলেন অসুস্থ হয়ে। পরে তাঁকে প্রাথমিক চিকিৎসার পরে ছেড়ে দেওয়া হয়। এদিকে এরপর সেদিন রাতে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে তৃণমূল সমর্থিত কর্মী সংগঠন 'শিক্ষাবন্ধু'র অফিসে আগুন লাগানো হয় বলে অভিযোগ করা হয়। এদিকে জখম পড়ুয়াকে দেখতে হাসপাতালে গেলে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের পাঞ্জাবি ছিঁড়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল কয়েকজন ছাত্রীর বিরুদ্ধে।