মেয়েকে বারান্দা থেকে ধাক্কা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল বাবার বিরুদ্ধে। এ বার যাদবপুরের সেই ঘটনায় মূল অভিযুক্তের বিরুদ্ধে যৌন হেনস্থার অভিযোগ তুলল তাঁর মেয়ে। গত ৭ মার্চ রাতে বাবার বিরুদ্ধে মেয়েকে বারান্দা থেকে ঠেলে ফেলে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল। এর পরেই ওই ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছিল পুলিশ। এ বার মেয়ের অভিযোগের ভিত্তিতে পকসো আইনে মামলা রুজু করেছে যাদবপুর থানার পুলিশ। আপাতত ১৫ বছরের ওই কিশোরীকে পাঠানো হয়েছে হোমে।

জানা গিয়েছিল, ওই ব্যক্তি একটি বহুতলে নিজের পরিবার নিয়ে থাকতেন। অভিযোগ, তিনতলার বারান্দা থেকে ধাক্কা দিয়ে মেয়েকে নীচে ফেলে দিয়েছিলেন তিনি। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় পুলিশ এবং কিশোরীকে বাঙুর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। তার পা এবং কোমরে গুরুতর আঘাত লাগায় প্লাস্টার করা হয়। ঘটনার তদন্ত করছে পুলিশ।

ওই নাবালিকা পুলিশকে জানিয়েছে, বাবা তাকে নিয়মিত ভয় দেখাতেন। সেই কারণে সে মুখ বন্ধ করে রাখত। কিন্তু প্রাণ সঙ্কটে পড়ায় এই বিষয়ে মুখ খুলেছে সে।

সূত্রের খবর, ওই ব্যক্তির স্ত্রী গত ৪ বছর ধরে তাঁর সঙ্গে থাকতেন না। অভিযুক্তের মায়ের মৃত্যু হয়েছিল করোনার সময়ে। মেয়েকে নিয়ে যাদবপুর এলাকায় একটি বহুতলের ফ্ল্যাটে থাকতেন তিনি। পুলিশি জেরায় ওই ব্যক্তি দাবি করেছিলেন, তাঁর মেয়ে রাত জেগে সোশ্যাল মিডিয়ায় বেশ কয়েক জন পুরুষ বন্ধুর সঙ্গে কথা বলত। আর এই বিষয়টি তাঁর পছন্দ ছিল না। মেয়ে বন্ধুর বাড়ি যাওয়ার নাম করে বাড়ি থেকে বেরিয়ে একদিন বাড়ি ফেরেনি। আর সেই জন্যই তিনি মেয়েকে বকাবকি করায় সে বারান্দা থেকে ঝাঁপ দিয়েছিল।

পরে অবশ্য নাবালিকার বক্তব্যও খতিয়ে দেখে পুলিশ। সেই সময়েই নাবালিকা বাবার বিরুদ্ধে যৌন হেনস্থার অভিযোগ তোলে। পুলিশ জানিয়েছে, সমস্ত দিক খতিয়ে দেখা হচ্ছে।