এই সময়, মালদা: উচ্চ মাধ্যমিকে ঘাড় ঘোরাতে দিচ্ছেন না শিক্ষকরা। পরীক্ষা কেন্দ্রে কড়া গার্ড দেওয়ার প্রতিবাদে শ্রেণীকক্ষের সিলিং ফ্যান ভাঙচুর করে তাণ্ডব চালাল পরীক্ষার্থীরা। উল্টে ফেলা হলো চেয়ার, বেঞ্চ, টেবিলও। বৃহস্পতিবার উচ্চ মাধ্যমিকের ইতিহাস এবং অঙ্ক পরীক্ষার দিন এই ঘটনা ঘটেছে হবিবপুর ব্লকের বুলবুলচণ্ডী গিরিজা সুন্দরী উচ্চ বিদ্যামন্দিরে। এ বারে ওই কেন্দ্রে তিনটি স্কুলের উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার সিট পড়েছিল। কেন্দ্রে তাণ্ডব চালানোর ঘটনায় নির্দিষ্ট একটি স্কুলের পরীক্ষার্থীদের একাংশকে চিহ্নিত করেছে গিরিজা সুন্দরী উচ্চ বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। বিষয়টি তারা জেলা শিক্ষা দপ্তরকেও জানিয়েছে।
উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার মালদার যুগ্ম কনভেনার অমল ঘোষ বলেন, ‘পরীক্ষার্থীদের একাংশের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট স্কুলের শ্রেণিকক্ষে হৈচৈ এবং তাণ্ডব করার অভিযোগ শুনেছি। বিষয়টি খোঁজ নিয়ে দেখা হচ্ছে।’ এ বারে বুলবুলচণ্ডী গিরিজা সুন্দরী উচ্চ বিদ্যামন্দিরে সিট পড়েছে হবিবপুর ব্লকের আইহো হাইস্কুল, তিলাসন হাইস্কুল এবং মানিকোড়া হাই স্কুলের। এ দিন ১৯০ জন পরীক্ষার্থী ওই স্কুলে পরীক্ষা দেয়। পরীক্ষা শুরুর পাঁচ মিনিট আগে আচমকা কয়েকটি শ্রেণিকক্ষে তাণ্ডব চালানোর অভিযোগ ওঠে পরীক্ষার্থীদের একাংশের বিরুদ্ধে।
এর আগে উচ্চ মাধ্যমিকের ইংরেজি পরীক্ষায় বৈষ্ণবনগর থানার চামাগ্রাম হাইস্কুলে টুকলিতে বাধা দেওয়ায় শিক্ষক - শিক্ষিকাদের উপর গরম জল ফেলার অভিযোগ ওঠে একাংশ পরীক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে। এরপর কম্পিউটার ও মিউজিক পরীক্ষার দিন হবিবপুরের ঋষিপুর হাই স্কুলে নকল করতে দেওয়ার দাবি জানিয়ে কয়েকটি সিলিং ফ্যান এবং ঘড়ি ভাঙচুর করা হয়। সেই ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতে এবারে হবিবপুরে তাণ্ডব চালানোর অভিযোগ উঠল পরীক্ষার্থীদের একাংশের বিরুদ্ধে।
বুলবুলচণ্ডী গিরিজা সুন্দরী উচ্চ বিদ্যামন্দিরের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক রবীন্দ্রনাথ পান্ডে বলেন, ‘স্কুলের শ্রেণিকক্ষের কিছু ফ্যান ভাঙচুর করা হয়েছে। নির্দিষ্ট একটি স্কুলের একাংশ পরীক্ষার্থীদের চিহ্নিত করেছি এবং ওই স্কুল কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি জানানো হয়েছে।’ আইহো হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক অভিজিৎ মিশ্র বলেন, ‘আমাদের স্কুলের পরীক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলেছি। তারা কোনও কিছুই করেনি বলে জানিয়েছে। ভিত্তিহীন অভিযোগ তোলা হয়েছে।’