এই সময়, শান্তিনিকেতন: বিশ্বভারতীর হস্টেলে হামলা! শনিবার রাতে শান্তিনিকেতনের সুভাষপল্লির তান ছাত্রাবাসে ঢুকে মারধরের অভিযোগ উঠল বহিরাগতদের বিরুদ্ধে। আবাসিকদের দাবি, হস্টেলটি কার্যত প্রতিবেশীদের দখলে। কোনও কথা বললেই প্রতিবেশীরা মারতে আসেন। তবে ছাত্রদের বিরুদ্ধে বিশৃঙ্খলার অভিযোগ এনেছেন এলাকার বাসিন্দারা।

তান ছাত্রাবাসে ২০ জন পড়ুয়া থাকেন। তাঁদের অভিযোগ, হস্টেল চত্বরটি গোরু–ছাগল চরানো, আবর্জনা ফেলার জায়গা হয়ে উঠেছে। নিত্যদিন নেশার আসরও বসানো হয়। হামলার অভিযোগ প্রসঙ্গে তাঁরা জানিয়েছেন, দোলের পরের রাতে ছাদে হুল্লোড় করছিলেন হস্টেলের আবাসিকরা। সেই সময়ে প্রতিবেশীরা চড়াও হয়ে ছাত্রদের মারধর করে। অকথ্য গালিগালাজ চলতে থাকে। বহিরাগতদের তাণ্ডবে তাঁরা রীতিমতো আতঙ্কিত বলে জানিয়েছেন আবাসিকরা৷ রাতেই খবর পেয়ে শান্তিনিকেতন থানার পুলিশ ও বিশ্বভারতীর নিরাপত্তারক্ষীরা হস্টেলে গিয়ে পরিস্থিতি সামাল দেয়৷

আবাসিকদের মধ্যে সংস্কৃত, পালি, প্রাকৃত বিভাগের স্নাতকোত্তর দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র অর্পণ ভট্টাচার্য ও হিন্দি বিভাগের স্নাতকোত্তর দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র সন্তু সিং বলেন, ‘প্রায় সময়ে ওরা আমাদের হুমকি দেয়৷ ওদের উদ্দেশ্য এই ছাত্রাবাসের দখল নেওয়া৷ আমরা নিজেদের মধ্যে আড্ডা মারছিলাম ছাদে৷ ওরা হস্টেলে ঢুকে মারধর করে। আমাদের দেখে নেবে বলেছে। খুবই আতঙ্কের মধ্যে আছি।’

এলাকার বাসিন্দা তন্ময় গোপ বলেন, ‘হস্টেলে ছেলেরা ছাদে উঠে বিশৃঙ্খলা তৈরি করছিল। ঘুমোনোর সময়ে পাড়ার লোক অতিষ্ঠ হয়ে পড়ে। তাই ছাত্রদের নিষেধ করা হয়। হস্টেলে কেউ ঢোকেনি।’

স্থানীয় তৃণমূল কাউন্সিলার চন্দন মণ্ডল বলেন, ‘আমি শুনেছি বিষয়টি। কী করা যায়, দেখছি৷ প্রতিবেশীদের সঙ্গে কথা বলব।’

বিশ্বভারতীর জনসংযোগ আধিকারিক অতিগ ঘোষ বলেন, ‘বিষয়টি শুনেছি। খতিয়ে দেখা হচ্ছে। প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’