ফুরফুরা শরিফে সোমবার বিকেলে ইফতারে যোগ দিয়ে সম্প্রীতির বার্তা দিলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি এ দিন বলেন, ‘সম্প্রীতি, শান্তি, ঐক্যই আমাদের বার্তা’। পাশাপাশি, হুগলিতে একটি পলিটেকনিক কলেজ এবং ১০০ বেডের একটি হাসপাতাল আবু বকরের নামে হবে বলে জানান মুখ্যমন্ত্রী।
ওবিসি সার্টিফিকেট সংক্রান্ত মামলার জন্য রাজ্যে নিয়োগ প্রক্রিয়া থমকে রয়েছে। এ দিন ফের সেই কথা জানান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে নিয়োগ এবং পরিকাঠামো তৈরি করেই ১০০ বেডের হাসপাতালটির উদ্বোধন হবে বলে আশ্বাস দেন তিনি।
উল্লেখ্য, মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার পরে এই নিয়ে তৃতীয়বার ফুরফুরায় গেলেন মুখ্যমন্ত্রী। এ দিন ৫টা ৯ মিনিটে ফুরফুরায় যান তিনি। প্রথমবার ২০১২ সালে তিনি সেখানে যান। এর পর দ্বিতীয়বার ২০১৬ সালে বিধানসভা ভোটের আগে তিনি ফুরফুরায় গিয়েছিলেন। এ দিন তিনি ইফতারে যোগ দিতে সেখানে যান। মুখ্যমন্ত্রী এ দিন বলেন, ‘আমি খ্রিষ্টানদের অনুষ্ঠানেও যাই, ইদ মোবারকেও যাই, নিজে ইফতার করি, পাঞ্জাবিদের গুরুদ্বারে যাই, গুজরাটিদের ডান্ডিয়া নাচেও যাই…। আমি মনে করি, বাংলার মাটি সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির মাটি। সকলের হয়ে আজ দোয়া করলাম।’
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ফুরফুরায় যাওয়ার উদ্দেশ্য নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন বিরোধীদের একাংশ। এ দিন তাঁদেরও জবাব দেন মমতা। তিনি বলেন, ‘যখন কাশী-বিশ্বনাথে যাই তখন তো কেউ প্রশ্ন তোলেন না? কালীপুজো, দুর্গাপুজোয় গেলে প্রশ্ন তোলেন না? বাংলার মাটি সম্প্রীতির মাটি।’
সম্প্রতি সংখ্যালঘুদের নিয়ে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর সঙ্গে তৃণমূল বিধায়ক হুমায়ুন কবীর ও রাজ্যের মন্ত্রী সিদ্দিকুল্লা চৌধুরীর মন্তব্য নিয়ে যে চর্চা শুরু হয়েছে তা ভালো ভাবে নেননি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, দাবি রাজনৈতিক মহলের। বিধানসভায় দাঁড়িয়ে সর্বধর্ম সমন্বয়ের পাঠ দিয়েছিলেন তিনি। অন্যদিকে, ইতিমধ্যেই হুমায়ুন কবীরকে শো-কজ় করেছিল পরিষদীয় দল। সব মিলিয়ে বর্তমান প্রেক্ষাপটে দাঁড়িয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ফুরফুরা সফর অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে।