এক বছরে আটশো। শুধুমাত্র একটি জেলা থেকেই নিখোঁজ নাবালিকার সংখ্যা ভাবাচ্ছে প্রশাসনকে। পরিস্থিতি মোকাবিলায় প্রশাসনিক উদ্যোগ নিতে সোমবার চুঁচুড়ায় সার্কিট হাউসে বৈঠকে বসল হুগলির পুলিশ প্রশাসন।

হুগলি গ্রামীণ পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কল্যাণ সরকার, জাতীয় মহিলা কমিশনের সদস্যা অর্চনা মজুমদার-সহ এই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন জেলা পুলিশ প্রশাসনের শীর্ষকর্তারা। হুগলি জেলায় গত কয়েক মাসেই শতাধিক নাবালিকার নিখোঁজ হওয়ার অভিযোগ দায়ের হয়েছে। পাশাপাশি স্কুল পড়ুয়া কিশোরীদের বাল্যবিবাহের ঘটনাও বেড়ে চলায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছে জাতীয় মহিলা কমিশন।

অর্চনা মজুমদার বলেন, ‘হুগলি জেলার বিশেষ করে গ্রামীণ অঞ্চলে নাবালিকাদের নিখোঁজ হওয়ার সংখ্যা ক্রমশ বাড়ছে। গত দু’বছরে সংখ্যাটা আরও বেড়েছে। আমরা খুবই উদ্বিগ্ন। সে কারণে বিভিন্ন সচেতনতামূলক ক্যাম্প করে হোক বা পুলিশ প্রশাসনের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে, বাচ্চাদের মোবাইল মনিটর করে যে ভাবেই হোক এটাকে বন্ধ করতে হবে।’

তিনি জানান, এই অবস্থায় অভিভাবকদের আরও কঠোর হওয়ার প্রয়োজন রয়েছে। বাচ্চারা ফোনে কী ব্যবহার করছেন সে দিকে নজর রাখা দরকার। পাশাপাশি, বাল্যবিবাহের ক্ষেত্রে নাবালিকা যেমন হোমে থাকে, অভিভাবকদেরও আইনের আওতায় আনতে হবে। পুলিশকে কঠোর ভাবে আইন প্রয়োগ করতে হবে।

জেলা প্রশাসন সূত্রে খবর, গোটা জেলার মধ্যে মূলত আরামবাগ মহকুমায় স্কুল পড়ুয়া মেয়েদের বাল্যবিবাহের প্রবণতা বেশি। এই সমস্যা রোধে জেলা প্রশাসনের তরফ থেকে সচেতনতা মূলক শিবির আয়োজনের সংখ্যা বৃদ্ধি এবং স্কুলে বিশেষ পাঠ্যক্রম চালু করার বিষয়েও নজর দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।