• 'অনেক পুরুষ জড়িত!' আরজি করে চিকিৎসক ধর্ষণ-খুন, ৫৪ প্রশ্ন নির্যাতিতার বাবার
    হিন্দুস্তান টাইমস | ১৮ মার্চ ২০২৫
  • কলকাতার আরজি কর হাসপাতালে ধর্ষণ ও খুন করা হয়েছিল এক মহিলা চিকিৎসককে। গোটা দেশে সাড়া ফেলে দিয়েছিল এই ঘটনা। এবার সেই তরুণী চিকিৎসকের বাবা একাধিক প্রশ্ন তুলেছেন এবং এই ঘটনায় একাধিক পুরুষের জড়িত থাকার অভিযোগ করেছেন।

    তরুণী চিকিৎসকের বাবা জানান, তদন্ত ও প্রমাণ লোপাটের অভিযোগে ৫৪টি প্রশ্ন দাখিল করে হাইকোর্টে মামলা করেছে পরিবার।

    তিনি বলেন, ‘আমরা হাইকোর্টে মামলা করেছি এবং ৫৪টি প্রশ্ন জমা দিয়েছি। আমার মেয়ে যাতে ন্যায়বিচার পায় সেজন্য আদালত সেই উত্তরগুলি আমাদের কাছে নিয়ে আসবে। আমার মেয়েকে ধর্ষণ ও হত্যার সঙ্গে অনেকে জড়িত। আর প্রমাণ টেম্পারিংয়ের সঙ্গে জড়িত রয়েছে অনেকের হাত। পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী প্রমাণ লোপাটের প্রক্রিয়ার নেতৃত্ব দিয়েছেন,’ নির্যাতিতার বাবা সংবাদ সংস্থা এএনআইকে বলেছেন।

    তিনি বলেন, 'পুলিশ তদন্তের জন্য ডগ স্কোয়াড নিয়ে এসেছিল, কিন্তু আমরা এখন পর্যন্ত এ বিষয়ে কোনো রিপোর্ট পাইনি। আদালতের প্রতি আমাদের আস্থা আছে এবং আদালত আমাদের ইচ্ছা অনুযায়ী সুষ্ঠুভাবে কাজ করছে।

    গত বছরের ৯ অগস্ট কলকাতার আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে ৩১ বছরের এক কর্তব্যরত চিকিৎসককে ধর্ষণ করে খুন করা হয়।

    এই মামলার মূল অভিযুক্ত সঞ্জয় রায়কে ২০ জানুয়ারি শিয়ালদহের দায়রা আদালত যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেয়। অভিভাবকরা আরও কিছু ব্যক্তির ভূমিকা খতিয়ে দেখতে আরও তদন্তের দাবি জানিয়েছেন।

    প্রবীণ আইনজীবী করুণা নন্দীর মাধ্যমে তাঁরা প্রথমে সুপ্রিম কোর্টের হস্তক্ষেপ চেয়েছিলেন, কিন্তু বেঞ্চ তাদের এখতিয়ারভুক্ত হাইকোর্টে যাওয়া উপযুক্ত বলে মনে করেছে, যেখানে সঞ্জয় রায়ের মৃত্যুদণ্ডের দাবিতে সিবিআইয়ের আপিলও বর্তমানে বিচারাধীন রয়েছে।

    এর আগে হাইকোর্ট অভিভাবকদের সুপ্রিম কোর্টের কাছে ব্যাখ্যা চাওয়ার পরামর্শ দিয়েছিল যে তারা সিবিআইয়ের আরও তদন্তের আবেদনের রায় দিতে পারে কিনা।

    মৃত তরুণী চিকিৎসকের  বাবার আরও দাবি, ঘটনার পর সাত মাস পেরিয়ে গেলেও মেয়ের ডেথ সার্টিফিকেট এখনও হাতে পাননি বাবা-মা।

    মৃত স্নাতকোত্তর প্রশিক্ষণার্থীর বাবার অভিযোগ, স্বাস্থ্য ভবন , হাসপাতাল এবং কলকাতা পুরসভার সংশ্লিষ্ট বরোর আধিকারিকরা তাঁদের সঙ্গে সহযোগিতা করছেন না।

     নির্যাতিতার বাবা তাৎপর্যপূর্ণ ইঙ্গিত দিয়েছেন যে ওই ঘটনায় একাধিক ব্যক্তি জড়িত ছিল। 
  • Link to this news (হিন্দুস্তান টাইমস)