আগামী বছরেই বিধানসভা নির্বাচন। তার আগে এখন দলের সবাইকে বিভেদ ভুলে এক সঙ্গে কাজ করার বার্তা দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তৃণমূল কংগ্রেসের সর্ব ভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। আর তখন দলের মধ্যেকার কোন্দল ফের প্রকাশ্যে এলো। পুরসভার চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধেই অনাস্থা আনলেন দলের ১১ জন কাউন্সিলার। যাঁরা এই অনাস্থা এনেছেন তাঁদের মধ্যে আছেন ভাইস-চেয়ারম্যানও। এই ঘটনা পূর্ব বর্ধমান জেলার দাঁইহাট পুরসভার। মঙ্গলবার, ওই পুরসভার চেয়ারম্যান প্রদীপ কুমার রায়ের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব আনা হয়েছে। ওই প্রস্তাব সই করে জমা দেওয়া হয়েছে দাঁইহাট পুরসভার এক্সিকিউটিভ অফিসারের কাছে।
যাঁরা এই অনাস্থা এনেছেন তাঁদের অভিযোগ, পুরসভার চেয়ারম্যান অসহযোগিতা করেন। এরই সঙ্গে তাঁর বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগও করা হয়েছে। যদিও তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা যাবতীয় অভিযোগ অস্বীকার করেছেন দাঁইহাট পুরসভার চেয়ারম্যান। প্রদীপ কুমার রায়ের দাবি, তিনি সবাইকে এক সঙ্গে নিয়েই কাজ করতে চান। এর পরে দল যে নির্দেশ দেবে তা মেনেই তিনি কাজ করবেন।
দাঁইহাট পুরসভার ভাইস-চেয়ারম্যান অজিত বন্দ্যোপাধ্যায়ের দাবি, ওই পুরসভার চেয়ারম্যান তাঁদের কারোর কথাই শোনেন না। চেয়ারমান নিজের ইচ্ছামতন কাজ করেন বলেও অভিযোগ করেন তিনি। তাঁর দাবি, কোটি কোটি টাকার কাজ করা হয় চেয়ারম্যানের পছন্দের তিনটে ওয়ার্ডে। এই নিয়ে তাঁরা আগেই তৃণমূলের উচ্চ নেতৃত্বকে সমস্যার কথা জানিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘এখানের সাধারণ মানুষও চাইছেন চেয়ারম্যান সরে যাক। তিনি সরে গেলেই দাঁইহাটের মঙ্গল হবে।’
এই কারণেই ওই পুরসভার ১১ জন সদস্য অনাস্থা পত্রে সই করেছেন। মঙ্গলবার দুপুরে দাঁইহাট পুরসভার এক্সিকিউটিভ অফিসার এবং কাটোয়ার মহকুমা শাসকের কাছে ওই অনাস্থা পত্র জমা দেওয়া হয়েছে।
তবে তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ উড়িয়ে প্রদীপ কুমার রায়ের দাবি, এখন যে কাউন্সিলাররা এই কথা বলছেন তাঁরাই পুরসভার উন্নয়নের কাছে সহযোগিতা করেন না। এখন কোনও ভাবেই অনাস্থা আনা যাবে না বলে ওই কাউন্সিলারদের জানিয়েছিল দলের নেতৃত্ব। অনাস্থা আনলে দলবিরোধী কাজ হবে বলেও জানানো হয়েছিল। এখন দল যে নির্দেশ দেবে তিনি সেই মতন কাজ করবেন বলেও জানিয়েছেন দাঁইহাট পুরসভার চেয়ারম্যান।