পুলিশ পরিচয় দিয়ে এক মহিলা আইনজীবীকে মারধর করা হয়েছে বলে অভিযোগ। ওই আইনজীবী অন্তঃসত্ত্বা । সেই সঙ্গে অভিযোগ, ওই মহিলা বর্ধমান থানায় গেলে তাঁর সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করা হয়। থানায় দীর্ঘক্ষণ বসিয়ে রেখেও ওই আইনজীবীর অভিযোগ নেওয়া হয়নি বলেও দাবি করেছে বর্ধমান বার অ্যাসোসিয়েশন। এই ঘটনার প্রতিবাদে বুধবার আদালতে কর্মবিরতির ডাক দিয়েছেন আইনজীবীরা।

মঙ্গলবার সন্ধ্যায় বর্ধমান বার অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক সদন তা জানিয়েছেন, দোলের দিনে বর্ধমান শহরের বি বি ঘোষ রোডে অন্তঃসত্ত্বা এক আইনজীবীকে মারধর করা হয়। পুলিশের স্টিকার লাগানো বাইকে দু’জন ওই আইনজীবীর গাড়িতে ধাক্কা মারেন। এর প্রতিবাদ করায় তাঁকে নামিয়ে মারধর করা হয়।

ওই আইনজীবীর অভিযোগ, তাঁরা বর্ধমান থানায় অভিযোগ জানাতে গিয়েছিলেন। সেখানে তাঁদের দীর্ঘক্ষণ বসিয়ে রাখা হয়। কী ভাবে তাঁকে সেখানেও হেনস্থা করা হয় তা তিনি মঙ্গলবার বর্ধমান বার অ্যাসোসিয়েশনকে চিঠি দিয়ে জানান।

ওই চিঠি পাওয়ার পরেই বর্ধমান বার অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক পূর্ব বর্ধমানের পুলিশ সুপার, বার কাউন্সিল, জেলা জজ-সহ বিভিন্ন জায়গায় চিঠি দিয়ে দ্রুত অভিযুক্তদের চিহ্নিত করে গ্রেপ্তারের দাবি জানিয়েছেন। পুলিশের অভিযোগ না নিতে চাওয়ার অভিযোগে বুধবার বর্ধমান বার অ্যাসোসিয়েশন পেন ডাউন কর্মসূচির ডাক দিয়েছে বলেও জানিয়েছেন তিনি। সদন তা জানান, বুধবার পেন ডাউন এবং কর্মবিরতি হবে। তিন দিনের মধ্যে পুলিশ ব্যবস্থা না নিলে অ্যাসোসিয়েশনের বৈঠক ডেকে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

পূর্ব বর্ধমানের পুলিশ সুপার সায়ক দাস অভিযোগ খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে আশ্বাস দিয়েছেন।

জানা গিয়েছে, স্বামীর সঙ্গে গাড়িতে করে গিয়েছিলেন ওই আইনজীবী। তাদের গাড়িতে ধাক্কা মারে দু'জন। এর প্রতিবাদ করায় ওই দুই জন নিজেদের পুলিশ বলে পরিচয় দিয়ে আইনজীবীকে গাড়ি থেকে নামিয়ে মারধর করেন। তাঁর পেটে লাথি মারা হয় বলেও অভিযোগ। পুলিশের কাছে অভিযোগ জানানো না হলে তাঁকে জানায় বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজের চিকিৎসক। বেসরকারি চিকিৎসকের কাছে চিকিৎসা করিয়ে তিনি থানায় অভিযোগ জানাতে গিয়েছিলেন। ওই আইনজীবীর দাবি, তাঁকে অনেকক্ষণ বসিয়ে রাখার পরেও বর্ধমান থানা অভিযোগ নিতে চায়নি। পরে অভিযোগ দায়ের করা হলেও কোনও কপি তাঁকে দেওয়া হয়নি বলে দাবি ওই আইনজীবীর।