এই সময়, ঝাড়গ্রাম: রাতে ঘরে ঘুমাচ্ছিলেন স্বামী–স্ত্রী। হঠাৎ হুড়মুড়িয়ে পড়ল মাটির বাড়ির একটি দেওয়ালের অংশ। ঘুম ভাঙতেই মহিলা দেখেন তাঁর স্বামী চাপা পড়েছে মাটির দেওয়ালে। আর সামনে দাঁড়িয়ে রয়েছে হাতি। এ দিকে, হাতির ভয়ে স্বামীকে বাঁচাতে যেতে পারছেন না মহিলা। তিনি চিৎকার জুড়ে দিলে প্রতিবেশীরা চলে আসেন।

কোনও রকমে হাতিটিকে তাড়িয়ে উদ্ধার করা হয় বছর ষাটের ওই ব্যক্তিকে। সোমবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে ঝাড়গ্রাম রেঞ্জের পুকুরিয়া বিটের আঁধারিশোল গ্রামে। আহত হপনা মুর্মু চিকিৎসাধীন। বন দপ্তর জানিয়েছে, নেদাবহড়া, জারুলিয়া, আঁধারিশোল এলাকায় তিন থেকে চারটি দলছুট হাতি রয়েছে। খাবারের সন্ধানে হাতির দল প্রায়ই গ্রামে ঢুকছে বলে স্থানীয়দের দাবি।

ওই দিন রাত ১১টা নাগাদ হপনার বাড়িতে খাবারের খোঁজেই এসেছিল হাতিটি বলে ধারণা গ্রামবাসীর। দেওয়ালের এক পাশে খাটিয়া পেতে ঘুমাচ্ছিলেন হপনা। সে সময়ে ঘটনাটি ঘটে। গ্রামের মানুষের তাড়া খেয়ে হাতিটি জঙ্গলের দিকে চলে যায়। হপনা ঝাড়গ্রাম মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি রয়েছেন। তাঁর মাথায় ও বুকে চোট লেগেছে। হপনার স্ত্রী লক্ষ্মীমণি বলেন, 'কুড়ি মিনিটের বেশি সময় ধরে হাতিটি দেওয়াল ভাঙার পরে দাঁড়িয়েছিল।'

গ্রামের মানুষের অভিযোগ, গত তিন–চারদিন ধরে এই হাতিগুলি এলাকায় রয়েছে। বন দপ্তরকে হাতি তাড়ানোর জন্য একাধিক বার জানানো হলেও তাঁরা কোনও ব্যবস্থা নেয়নি। সারা বছর হাতির তাণ্ডবে কখনও বাড়ি ভাঙছে। ক্ষতি হচ্ছে ফসলের। এমনকী হাতির আক্রমণে মৃত্যুর ঘটনাও ঘটছে। ঝাড়গ্রামের ডিএফও উমর ইমাম বলেন, 'হাতির হানায় যে মাটির বাড়িটি ভেঙেছে তার ক্ষতিপূরণ হপনার পরিবারকে দেওয়া হবে।'