পরিপাটি করে ইট বিছানো রাস্তা তৈরি হয়েছে। রাস্তার মাঝেই এক পায়ে দাঁড়িয়ে আস্ত একটা বিদ্যুতের খুঁটি। সমাজমাধ্যমে দেখতে পাওয়া কোনও ‘মিম’-এর ছবি নয়। বাস্তবে এই ঘটনা ঘটেছে হাওড়ার উলুবেড়িয়ায়। স্থানীয়রা অভিযোগের আঙুল তুলেছেন ঠিকাদার সংস্থার দিকে। বিদ্যুৎ দপ্তরের সঙ্গে যোগাযোগ করে পোস্টটি সরিয়ে নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছে স্থানীয় পঞ্চায়েত।
পথশ্রী প্রকল্পের রাস্তা তৈরি হচ্ছে হাওড়ার শ্যামপুর-২ ব্লকের বারিগ্রাম পঞ্চায়েতের চাঁপাবাড় এলাকায়। সেখানেই রাস্তার মাঝখানে রয়েছে একটি বিদ্যুতের খুঁটি। যে খুঁটির কারণে ওই রাস্তা দিয়ে হেঁটে যাতায়াত করা গেলেও গাড়ি চলাচলের অযোগ্য। বিষয়টি নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।
শ্যামপুর-২ পঞ্চায়েত সমিতি সূত্রে খবর, ইতিমধ্যে রাস্তার মাঝখান থেকে বিদ্যুতের খুঁটি সরানোর ব্যাপারে বিদ্যুৎ দপ্তরের আধিকারিকদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে। জানা গিয়েছে, বাছরি গ্রাম পঞ্চায়েতের চাঁপাবাড় এলাকার মানুষদের এবং স্থানীয় প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পড়ুয়াদের যাতায়াতের সুবিধার্থে পথশ্রী প্রকল্পে এলাকায় একটি রাস্তা তৈরির উদ্যোগ নেওয়া হয়। সেইমতো দায়িত্বপ্রাপ্ত ঠিকাদার সংস্থা রাস্তার কাজ শুরু করেন। রাস্তার উপর ইট পাতা শুরু হয়।
অভিযোগ, রাস্তার কাজ শুরু হলেও রাস্তার মাঝখানে থাকা একটা বিদ্যুতের খুঁটি না সরিয়ে ঠিকাদার রাস্তা তৈরি করছেন। রাস্তার মাঝখানে বিদ্যুতের খুঁটি না সরিয়ে কী ভাবে ঠিকাদার সংস্থা রাস্তা তৈরি করছে, সেই নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগের সত্যতা স্বীকার করে নিয়েছেন বাছরি গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান শ্যামসুন্দর মেটিয়া।
তিনি বলেন, ‘এ ব্যাপারে আমরা পঞ্চায়েত সমিতি-সহ বিভিন্ন প্রশাসনিক দপ্তরে অভিযোগ জানালেও কোনও সুরাহা হয়নি। অবিলম্বে রাস্তার মাঝখান থেকে বিদ্যুতের খুঁটি সরিয়ে নিয়ে রাস্তার কাজ শেষ করার আবেদন জানানো হয়েছে। এই বিষয়ে শ্যামপুর-২ নং পঞ্চায়েত সমিতির সহকারি সভাপতি নদেবাসী জানা বলেন, ‘বিষয়টি আমার নজরে আসার পরেই আমি বিদ্যুৎ দপ্তরের সঙ্গে যোগাযোগ করেছি। বিদ্যুৎ দপ্তরকে রাস্তার মাঝখান থেকে বিদ্যুতের খুঁটি সরিয়ে নেওয়ার কথা বলা হয়েছে। খুব শীঘ্র সমস্যার সমাধান হবে।’