মেয়ের মৃত্যুর প্রায় আট মাসের মাথায় ডেথ সার্টিফিকেট হাতে পেলেন আরজি করের নির্যাতিতার পরিবার। বুধবার নির্যাতিতার বাড়িতে যান রাজ্যের স্বাস্থ্যসচিব নারায়ণ স্বরূপ নিগম। তিনি নির্যাতিতার বাবা-মাকে এই নথি দেন। এ দিন স্বাস্থ্যসচিবের সঙ্গে ছিলেন আরজি কর মেডিক্যাল কলেজের এমএসভিপি সপ্তর্ষি চট্টোপাধ্যায়। 

এ দিন নির্যাতিতার বাবা বলেন, ‘স্বাস্থ্যসচিব বাড়িতে এসেছিলেন। মেয়ের মৃত্যুর ডেথ সার্টিফিকেটের অরিজিনাল নথি তিনি দিয়ে গিয়েছেন। পরবর্তীতে অন্য কোনও নথির প্রয়োজন হলে এমএসভিপি তা দিয়ে দেবেন বলেও জানিয়েছেন।’

তিনি আরও বলেন, ‘গত বছরের সেপ্টেম্বর মাস থেকে এই নথি পাওয়ার চেষ্টা করছিলাম। চলতি বছর ৩১ জানুয়ারি এর জন্য লিখিত আবেদনও জমা করি। এর পর থেকেই গত কয়েক মাস ধরে কখনও আরজি কর, কখনও কলকাতা পুরসভার বরো অফিসে, স্বাস্থ্য ভবনে দৌড়াদৌড়ি করেছি। বাবা হয়ে মেয়ের ডেথ সার্টিফিকেটের জন্য ঘোরা যে কতটা কষ্টের তা আমরাই জানি। তা হাতে পাওয়ার পর আমি সকলকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি। কেন এই নথি পেতে এতটা দেরি হলো তার সঠিক উত্তর পাইনি।’

অন্যদিকে, স্বাস্থ্যসচিব এই নিয়ে কোনও মন্তব্য করতে চাননি। তিনি বলেন, ‘ওঁদের ডেথ সার্টিফিকেট দেওয়ার কথা ছিল। তা দিলাম। আর কোনও তথা হয়নি।’ উল্লেখযোগ্য ভাবে এ দিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিধানসভায় বলেছিলেন, ‘আমরাও চাই আরজি করের নির্যাতিতা সুবিচার পাক। কিন্তু যাঁরা মহারাষ্ট্র বা অন্য রাজ্যের সঙ্গে বাংলার তুলনা করেন তাঁদের বলব, বাংলাকে অসম্মান করে অন্য রাজ্যকে সম্মান জানানো যায় না।’