‘রাজ্যে সবুজ রক্ষার জন্য সমস্ত পদক্ষেপ করা হবে’, দোলের আগে একটি ঘটনার প্রেক্ষিতে বলেছিলেন বনমন্ত্রী বীরবাহা হাঁসদা। এ বার কেশপুরে বেআইনি ভাবে গাছ কাটার খবর শুনে তা রুখে দিলেন তিনি। আর সবুজগুলির প্রাণ বাঁচানোর জন্য রাজ্যের বনমন্ত্রীর কানে এই তথ্য তুলে দিয়েছিলেন রাজ্যের শাসক দলের আরেক দাপুটে নেত্রী শিউলি সাহা। 

কেশপুরের সরিষাখোলা গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় গ্রামীণ রাস্তার দুই পাশে লাগানো হয়েছিল বিভিন্ন গাছ। অভিযোগ, রাস্তা সংস্কারের নামে সেই গাছগুলিই কেটে সাফ করে দেওয়া হচ্ছিল  স্থানীয় গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান মিজানুর রহমানের নির্দেশে। বৃহস্পতিবার মেদিনীপুর বন বিভাগের ডিএফও  দীপক এম গাছ কাটা বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছেন। তবে তার আগেই বুধবার কমপক্ষে ২০ থেকে ২৫টি বড় বড় গাছ কেটে ফেরা হয়েছে বলে অভিযোগ স্থানীয়দের। 

অভিযুক্ত গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান মিজানুর রহমান বলেন, ‘গাছ কাটা হয়েছে নিয়ম মেনেই। রাস্তার কাজ হবে বলে গাছ কাটার অনুমতি নেওয়া হয়েছিল। রাস্তার ধারে যাঁদের জমি রয়েছে তাঁরাও  গাছ বিক্রির ভাগ চেয়েছিলেন। তাঁদের টাকা দেওয়া হয়নি বলেই সমস্যা।’

উল্লেখ্য, ওই এলাকার স্থানীয় বাসিন্দা মারফত গাছ কাটার খবর পৌঁছেছিল  স্থানীয় বিধায়ক তথা পঞ্চায়েত প্রতিমন্ত্রী শিউলি সাহার কাছে। বুধবার বিধানসভা অধিবেশন চলাকালীন তিনি বিষয়টি বন প্রতিমন্ত্রী বীরবাহা হাঁসদার নজরে আনেন। অধিবেশন শেষ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই তিনি মেদিনীপুরের ডিএফও-কে অবিলম্বে গাছ কাটা বন্ধ করার নির্দেশ দেন। পদক্ষেপ করে বনদপ্তর। বৃহস্পতিবার থেকেই গাছ কাটা বন্ধ হয়েছে ওই এলাকায়। তবে তার আগেই ২০ থেকে ২৫টি গাছ কাটা হয়ে গিয়েছে বলে অভিযোগ। ওই গাছগুলি কি নিয়ম মেনে কাটা হয়েছে? গাছগুলি কাটার কি অনুমতি ছিল? উঠছে এই প্রশ্ন। বন দপ্তরকে সমস্ত অভিযোগ খতিয়ে দেখার নির্দেশ দিয়েছেন বীরবাহা হাঁসদা। 

 স্থানীয় বিধায়ক তথা পঞ্চায়েত প্রতিমন্ত্রী শিউলি সাহা বলেন, ‘কোনও ভাবেই  বেআইনি কাজ বরদাস্ত করা হবে না। বেশ কয়েক জায়গা থেকে অভিযোগ এসেছিল। বিষয়টি বনমন্ত্রীর নজরে আনার সঙ্গে সঙ্গেই তিনি পদক্ষেপ করেছেন।’ অন্যদিকে, রাজ্যের বনমন্ত্রী বীরবাহা হাঁসদা বলেন, ‘বিষয়টি শোনার পরই বন দপ্তরকে ব্যবস্থা নিতে বলেছি। নিয়ম মেনে গাছ কাটার প্রয়োজন হলে বিকল্প হিসেবে প্রচুর পরিমাণে গাছ লাগাতে হয়। বেআইনি কাজ করলে কেউ ছাড় পাবেন না।’