হাওড়ার বেলগাছিয়া ভাগাড়ে ধস নেমে জলের পাইপ লাইন ফেটে বিপত্তি। উত্তর হাওড়ায় দেখা দিয়েছে তীব্র জলসঙ্কট। আর তা নিয়ে হাওড়া পুর প্রশাসনের দিকেই অভিযোগের আঙুল তুললেন উত্তর হাওড়ার তৃণমূল বিধায়ক গৌতম চৌধুরী। তাঁর অভিযোগ, ‘বেলগাছিয়া এলাকায় নতুন পাইপ লাইন বসিয়েছে কেএমডিএ। সেটি মাত্র সত্তর মিটার জোড়ার কাজ বাকি ছিল। কিন্তু সেই কাজ করা হয়নি।’ তাঁর দাবি, এই কাজ করা হলে উত্তর হাওড়ার মানুষকে জলকষ্টে ভুগতে হতো না। জলের সমস্যার জন্য পুরসভার দিকে অভিযোগের আঙুল তুলেছেন তিনি। ওই লাইনটি যেহেতু শিবপুর বিধানসভার মধ্যে পড়ে তাই সেখানকার দায়িত্বে থাকা তাঁরই দলের লোকজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছেন তিনি।

হাওড়া পুরসভার প্রশাসকমন্ডলীর চেয়ারম্যান সুজয় চক্রবর্তী বলেন, ‘গৌতমবাবু বিধায়কের পাশাপাশি পুরসভার দায়িত্বেও রয়েছেন। তিনি মনে হয় জানেন না যে ওই পাইপ লাইন কিছুদিনের মধ্যেই জোড়া হতো। বেনারস রোড সারানোর সময় এই কাজ করা হতো। একসঙ্গে এই কাজ করা হলে মানুষের হয়রানি কম হতো।’

উত্তর হাওড়ার বিধায়ক গৌতম চৌধুরীর মন্তব্য নিয়ে কটাক্ষ ছুড়েছেন বিজেপি রাজ্য সম্পাদক উমেশ রাই। তিনি বলেন, ‘পুরসভার সঙ্গে থেকেও তিনি এসব বলেন। নিজের দোষ ঢাকতে অন্যের ঘাড়ে দোষ চাপান। এর আগেও জল জমা নিয়ে রাস্তায় বসে মুখ্যমন্ত্রীর ধমক খেয়েছেন।’ পুরসভার খারাপ পরিষেবার জন্য তৃণমূল বিধায়কও দায়ী, অভিযোগ বিজেপি নেতার।

বৃহস্পতিবার সকালে হাওড়ার বেলগাছিয়া এলাকায় পানীয় জলের পাইপ ফেটে বিপত্তি হয়। তার সঙ্গেই বেলগাছিয়ার ভাগা়ড়ের আবর্জনা ওই পাইপের জলে মিশে যেতে থাকে বলে অভিযোগ। ভাঙা পাইপলাইন মেরামত করতে গিয়েও ফের বিপত্তি বাঁধে। বেলগাছিয়া ভাগাড়ে নতুন করে ধস নামায় আবার জলের লাইনে ফাটল দেখা যায়। ওই এলাকায় একাধিক বাড়িতেও ফাটল দেখা যায়। আতঙ্কে বাড়ি খালি করতে থাকেন বাসিন্দারা। এই পরিস্থিতিতেও এ বার পাইপ লাইন মেরামতি নিয়ে প্রকাশ্যে এল পুরসভার অন্দরের টানাপড়েন।