লরি থামিয়ে পুলিশের টাকা তোলার অভিযোগ বাংলায় নতুন নয়। এই নিয়ে মাঝেমধ্যে হইচই হলেও সমস্যা যে সেই তিমিরেই, তা ফের একবার সামনে এল। এ বারের ঘটনাস্থল বারাসত কলোনি মোড়। ১২ নম্বর জাতীয় সড়কে লরি থামিয়ে টাকা তোলার দৃশ্য সম্প্রতি ভাইরাল হয়ে ছড়িয়ে পড়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। সিভিক ভলান্টিয়ারকে বারাসতের কলোনি মোড়ে ওভার লোডেড ট্রাকের জানলায় হাত বাড়িয়ে টাকা নিতে দেখা যাচ্ছে ওই ভিডিয়োয়। যদিও সেই ভিডিয়োর সত্য যাচাই করেনি 'এই সময় অনলাইন'।

এই ঘটনা শুক্রবার রাতের বলে দাবি করা হয়েছে। ভিডিয়োয় দেখা যাচ্ছে, পরের পর লরি দাঁড় করিয়ে সেখান থেকে টাকা তোলা চলছে জোর কদমে। লরির জানালা দিয়ে হাত বাড়িয়ে চালক টাকা দিতেই তা অবলীলাক্রমে পকেটে পুরছেন সিভিক ভলান্টিয়ার। মোবাইল ফোনে কেউ এই ঘটনা রেকর্ড করে ফেসবুকে আপলোড করতেই দ্রুত গতিতে শেয়ার ও কমেন্ট চলছে।

এই ঘটনা ঘিরে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তর্জা। বিজেপি নেতা শঙ্কর চট্টোপাধ্যায় বলেছেন, এই কাজ নতুন কিছু নয়, দীর্ঘদিন ধরে দেখে আসছি। পুলিশের যা কাজ, তা না করে টাকা তোলা হচ্ছে। উচ্চপদস্থ পুলিশ অফিসারদের অবিলম্বে এই ঘটনা খতিয়ে দেখা উচিত।’ সিপিএম নেতা আহমেদ আলি খান বলেন, ‘শুধু বারাসত নয়, গোটা রাজ্যে এই ঘটনা চলছে। সিভিকদের দিয়ে পুলিশ টাকা তুলছে। প্রশাসনের লোকজনও এর সঙ্গে জড়িত।’ এই ভাবে তোলাবাজি চলায় সাধারণ মানুষ হয়রানির শিকার হচ্ছেন বলে অভিযোগ করেছেন কংগ্রেস নেতা নীলাভ বন্দ্যোপাধ্যায়। যিনি ভিডিয়ো রেকর্ড করেছেন, তাঁর নিরাপত্তা নিয়েও উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন তিনি।

বারাসাত পুলিশ জেলার সুপার প্রতীক্ষা ঝাড়খড়িয়া জানিয়েছেন, অভিযোগ খতিয়ে দেখার জন্য একজন পুলিশ অফিসারকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। যে সিভিক ভলান্টিয়ারকে টাকা নিতে দেখা গিয়েছে, তার বিরুদ্ধে ইতিমধ্যেই শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন ডিএসপি ট্রাফিক নীহাররঞ্জন রায়।