এই সময়, দিঘা: মাঝে দিঘায় ভিড় না হওয়ায় চিন্তায় পড়েছিলেন ব্যবসায়ীরা। কিন্তু দোলের সময়ে দিঘায় রেকর্ড ভিড় হয়। যা হাসি ফুটিয়েছিল দিঘার ব্যবসায়ীদের মুখে। চিন্তা কেটেছিল ছোট ব্যবসায়ীদেরও। অক্ষয় তৃতীয়ার দিন দিঘায় জগন্নাথ মন্দির উদ্বোধন হবে। এখন তারই প্রস্তুতি চলছে। দোলের পর থেকে দিঘায় ভালোই ভিড় হচ্ছিল।
কিন্তু হঠাৎ বৃষ্টির জেরে ২১ মার্চ শুক্রবার থেকে দিঘার চেনা ভিড় ফের উধাও। পর্যটন শিল্পের সঙ্গে যুক্ত মানুষজন জানান, উইকএন্ডে ভিড় হবে, এমনটা ধরেই চলা হয়। কিন্তু এই উইকএন্ডে সেই ভিড় দেখা গেল না।
দোলের পর থেকে দিঘায় শুক্রবার থেকেই ভিড় শুরু হয়ে যায়। শনিবার ও রবিবারও সৈকতে পর্যটকরা ভিড় করেন। হোটেল মালিকেরা জানিয়েছেন, শুক্রবার কিংবা শনিবার যাঁরা সৈকতে আসেন তাঁরা অনেক আগে থেকেই হোটেল বুকিং শুরু করে দেন।
এ বার কলকাতাতেও বৃষ্টি হচ্ছে। ফলে মানুষ বুঝতে পেরে গিয়েছেন সৈকতেও বৃষ্টি হচ্ছে। প্রত্যেক উইকএন্ডে যে ভিড় হচ্ছিল, সেই ভিড় এ বার আর হয়নি। তবে ইদের সময়ে অর্থাৎ মার্চের শেষে হোটেলের ভালো বুকিং হয়েছে। আবার ১৫ থেকে ২২ এপ্রিল পর্যন্ত ভালো হোটেল বুকিং হয়েছে বলে জানান দিঘা–শঙ্করপুর হোটেলিয়ার্স অ্যাসোসিয়েশনের যুগ্ম সম্পাদক বিপ্রদাস চক্রবর্তী।
তিনি বলেন, ‘মন্দির উদ্বোধন উপলক্ষে এখন সেই ভাবে আগাম বুকিং শুরু হয়নি। তবে পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে প্রতিটি হোটেলে কিছু কিছু রুম বুকিং করা হচ্ছে।’
কিন্তু মন্দির উদ্বোধন উপলক্ষে প্রশাসনের পক্ষ থেকে দিঘা মন্দারমণিতে কতগুলি হোটেল নেওয়া হবে, বা কত রুম নেওয়া হবে, তা হোটেল মালিকরা জানেন না। অন্য দিকে, মন্দির উদ্বোধনের দিন যত এগিয়ে আসছে দিঘা জুড়ে প্রশাসনিক তৎপরতা ততই বাড়ছে।
শনিবার অতিরিক্ত জেলাশাসক নেহা বন্দ্যোপাধ্যায়, দিঘা–শঙ্করপুর উন্নয়ন পর্ষদের প্রশাসক অপূর্ব বিশ্বাস ও পর্ষদের আধিকারিকরা দিঘা চষে বেড়িয়ে সামগ্রিক পরিস্থি খতিয়ে দেখেন। দিঘায় স্থায়ী হেলিপ্যাডের পাশে আরও তিনটি হেলিপ্যাড তৈরির জায়গা করা হবে। সেই জায়গা ও পার্কিং জ়োন, অস্থায়ী শৌচাগার তৈরির জায়গাও চিহ্নিত করার কাজ শেষ হয়েছে বলে প্রশাসনিক কর্তারা জানান।
মন্দির উদ্বোধনের আগে দিঘাতে দু’টি থানা থাকলেও জগন্নাথধামে নতুন পুলিশ ফাঁড়ি, অস্থায়ী দমকল কেন্দ্র, চিকিৎসা ইউনিটও তৈরির উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। দিঘা জুড়ে এখন শুধু সাজসাজ রব। অপূর্ব বলেন, ‘ভিড়ের কথা মাথায় রেখে সব ধরনের প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে। এপ্রিলের প্রথম সপ্তাহের মধ্যে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সব কিছু চুড়ান্ত হয়ে যাবে।’