এই সময়: কলকাতা থেকে লন্ডন ডিরেক্ট ফ্লাইট পরিষেবার জন্য রাজ্য সরকার যে এখনও চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে, শনিবার সেই ইঙ্গিত দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। অক্সফোর্ডে ভাষণ এবং ইউকে’তে বাণিজ্যিক বৈঠকে অংশগ্রহণ করতে শনিবার সন্ধ্যায় লন্ডনের ফ্লাইট ধরেছেন মমতা। হিথরো বিমানবন্দরে সাবস্টেশনে অগ্নিকাণ্ডের জেরে তাঁর সফর সামান্য পিছোতে হয়। দুবাই হয়ে লন্ডন যাচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী।
ফ্লাইটে ওঠার আগে এ দিন বিমানবন্দরের বাইরে মমতা বলেন, ‘আমাদের আগে ফ্লাইট ছিল। কিন্তু তা ক্যান্সেল হয়েছে। সব কর্মসূচি অনেকটাই ডিসটার্বড হয়েছে। অনেকগুলো বিজ়নেস মিটিং রয়েছে, অক্সফোর্ডে ভাষণ রয়েছে, ভারতীয় দূতবাসে কর্মসূচি রয়েছে। কিন্তু এই যাত্রা খুব হেকটিক হয়ে গেল। ডাইরেক্ট ফ্লাইট না–থাকার জন্য এই অসুবিধা হচ্ছে। আমরা তো অনেক চেষ্টা করছি, দেখা যাক।’
রাজ্য সরকার যে কলকাতা–লন্ডন ডিরেক্ট ফ্লাইট পরিষেবার জন্য উদ্যোগী হয়েছে, তা গত বছর বিধানসভায় বলেছিলেন রাজ্যের অর্থমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য। কেন্দ্রের অসামরিক বিমান পরিবহণ মন্ত্রকের কাছে এই বিষয়ে প্রস্তাব দেওয়া হবে বলেও ঘোষণা করেছিলেন চন্দ্রিমা। যদিও এখনও কলকাতা–লন্ডন সরাসরি বিমান পরিষেবা চালু হয়নি। কিন্তু রাজ্য সরকার যে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে, তা মমতার কথায় স্পষ্ট। লন্ডন–কলকাতা ডিরেক্ট ফ্লাইট না–থাকার কারণে মুখ্যমন্ত্রীর যাওয়া–আসাতেই দু’দিন সময় চলে যাচ্ছে।
বিধানসভায় চন্দ্রিমা কলকাতা থেকে ইউরোপগামী ডিরেক্ট উড়ান চালু করার পক্ষে সওয়াল করার বেশ কয়েক মাস আগে নবান্নে ট্রাভেল এজেন্টদের দু’টি সর্বভারতীয় সংগঠনের সঙ্গে সরকারের বৈঠক হয়েছিল। সেই বৈঠকেও কলকাতা–লন্ডন ডিরেক্ট বিমান পরিষেবা নিয়ে আলোচনা হয়েছিল। একটি ভারতীয় বিমান সংস্থা কলকাতা–লন্ডন ডিরেক্ট ফ্লাইট চালাতে সমীক্ষা করতে পারে বলেও এই বৈঠকে ট্রাভেল এজেন্টদের তরফে বলা হয়। একদা কলকাতা থেকে এয়ার ইন্ডিয়া, ব্রিটিশ এয়ারওয়েজ়–সহ একাধিক সংস্থা ইউরোপগামী ফ্লাইট চালাত। কলকাতা থেকে পশ্চিম এশিয়াগামী বিমান পরিষেবা থাকলেও ইউরোপগামী বিমান পরিষেবা বহু বছর বন্ধ হয়ে গিয়েছে। ইউকে’তে মমতার মোট চার দিনের কর্মসূচি রয়েছে।
বিদেশে থাকলেও নবান্নের সঙ্গে তাঁর নিয়মিত যোগাযোগ থাকবে বলে এ দিন জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। তাঁর কথায়, ‘বাংলার মানুষকে বলব, শান্তিতে থাকুন, ভালো থাকুন। আমরা শুধু চার–পাঁচ দিন থাকব না। কিন্তু যোগাযোগ আমাদের সঙ্গে সব সময়ে থাকবে। কোনও রকম অসুবিধা হলে আমরা দেখে নেব।’