সুদে টাকা ধার নিয়েছিলেন। বেশ কিছু টাকা শোধও দেওয়া হয়ে গিয়েছিল। এর পরেও বাকি টাকা পরিশোধ করতে সেই ব্যক্তির কিডনি বিক্রি করিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠল। রবিবার ঘটনায় গ্রেপ্তার করা হয়েছে বিকাশ ঘোষ নামে এক ব্যক্তিকে। ঘটনা উত্তর ২৪ পরগনার অশোকনগরে। এর পেছনে বড়সড় কিডনি পাচার চক্র রয়েছে কি না সে ব্যাপারে তদন্ত করে দেখেছে পুলিশ। 

সংসার চালাতে গিয়ে দেনার দায়ে ডুবে গিয়েছিলেন অশোকনগর থানার হরিপুর ভৈরবতলা এলাকার এক বাসিন্দা। একই এলাকার বাসিন্দা বিকাশ ঘোষের থেকে তিনি ৬০ হাজার টাকা সুদে ধার নিয়েছিলেন। তাঁর দাবি, ধীরে ধীরে প্রায় এক লক্ষ কুড়ি হাজার টাকা সুদ দিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু, আসল ৬০ হাজার টাকা দিতে না পারায় তাঁর উপর নিয়মিত চাপ সৃষ্টি করা হচ্ছিল। 

যুবকের অসহায়তায় তাঁকে কিডনি বিক্রি করে দেওয়ার পরামর্শ দেন অভিযুক্ত বিকাশ ঘোষ বলে দাবি। অভিযুক্ত শীতল ঘোষ এক মহিলার সঙ্গে যুবকের যোগাযোগ করিয়ে দেয় কিডনি বিক্রির জন্য। যুবকের স্ত্রী কিডনি বিক্রি করতে রাজি হন। কলকাতার একটি নামী বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয় তাঁকে। কিডনি হস্তান্তরও হয়। ভিন রাজ্যের একজন সেই কিডনি সাড়ে ৫ লক্ষ টাকার বিনিময়ে ক্রয় করে বলে দাবি।

কিডনি বিক্রির হয়ে যাওয়ার পরেই অভিযুক্ত বিকাশ ঘোষ ওই যুবকের থেকে পাওনা ৬০ হাজার টাকার পরিবর্তে আরও দু’লক্ষ টাকা দাবি করেন। এর পরেই যুবক অশোকনগর থানার দ্বারস্থ হন।  ঘটনার তদন্তে নেমে অভিযুক্ত বিকাশ ঘোষ ওরফে শীতলকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। 

আদালতের নির্দেশে অভিযুক্তকে নিজেদের হেফাজতে নিয়ে এই চক্রের সঙ্গে আরও কারা জড়িত রয়েছে তা খোঁজার চেষ্টা চালানো হচ্ছে। যুবকের সঙ্গে কোনও বড় কিডনি পাচার চক্রের যোগাযোগ রয়েছে কি না সে খোঁজ নেওয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।