ছোট ভাইকে নৌকা থেকে ধাক্কা দিয়ে গঙ্গায় ফেলে দেওয়ার অভিযোগ সৎ দাদার বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে নবদ্বীপের বড়ালঘাটে। পাঁচ বছরের সুব্রত বিশ্বাসের বাড়ি নবদ্বীপ ব্লকের চর মাজদিয়ার কপালিপাড়ায়। শনিবার রাত আটটা নাগাদ ছোট ভাই সুব্রতকে বাড়ি থেকে নিয়ে বের হন তার সৎ দাদা সুমন দত্ত। কেক কিনতে যাওয়ার নাম করে ছোট ভাই সুব্রতকে নিয়ে নবদ্বীপের স্বরূপগঞ্জ ঘাট থেকে নৌকোয় ওঠেন সুমন। এর পর নবদ্বীপের বড়ালঘাটে পৌঁছনোর পর নৌকা থেকে সুব্রতকে ধাক্কা দিয়ে গঙ্গায় ফেলে দেন সুমন। অন্তত অভিযোগ এমনই।

পরিবারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, এ দিন সুব্রতর সৎ দাদা সুমন দত্তের জন্মদিন ছিল। সেই জন্য কেক কেনার নাম করে বাড়ি থেকে সুব্রত ও তাঁর মাসির ছেলেকে নিয়ে বের হন সুমন। সুমনের বয়স ১৯। পাড়ার একজনের সাইকেল নিয়ে কেক কেনার উদ্দেশ্য রওনা দেয় তারা। কিন্তু নবদ্বীপের বড়ালঘাটে পৌঁছনোর পর সুব্রতর মাসির ছেলে চর মাজদিয়া বাজার থেকে কিছু খাবার কেনার জন্য সেখান থেকে চলে যান। এর পর সুমন তার সৎ ভাইকে নিয়ে নবদ্বীপের বড়ালঘাট যাওয়ার নৌকোতে উঠে। সেখানে নদী পার করে নামার সময় হঠাৎ সুব্রতকে নৌকা থেকে গঙ্গায় ফেলে দেন সুমন।

জানা গিয়েছে, মৃত সুব্রত স্থানীয় স্কুল স্বামী বিবেকানন্দ চাইল্ড ইনস্টিটিউটের ইউকেজির ছাত্র। সুব্রতের মা বন্দনা বিশ্বাস বলেন, ‘সুব্রতকে ভরসা করেই সুমনের সঙ্গে ছেড়েছিলাম। আমি বুঝতে পারিনি সুমনের মনে এ সব ছিল।’

জানা গিয়েছে, নবদ্বীপের বড়ালঘাটে এখনও ওই শিশুর খোঁজে তল্লাসি অভিযান চালানো হচ্ছে। তবে মূল অভিযুক্ত সুমন এখনও পলাতক। পুলিশ তাঁর খোঁজ চালাচ্ছে।