• প্রেমিককে সঙ্গে নিয়ে স্বামীকেই সরিয়ে দেওয়ার ছক কষেছিল স্ত্রী, ভয়ংকর পরিণতি গৃহবধূর
    ২৪ ঘন্টা | ০৮ এপ্রিল ২০২৫
  • তথাগত চক্রবর্তী: সোনারপুর থানার মাহিনগরে চাঞ্চল্যকর হত্যাকাণ্ড। প্রেমিককে সঙ্গে নিয়ে স্বামীকে খুনের ছক কষেছিল স্ত্রী। তবে সেই ষড়যন্ত্রের জালেই শেষ পর্যন্ত প্রাণ গেল স্ত্রীর। স্ত্রীর হত্যার পর নিজেই থানায় গিয়ে আত্মসমর্পণ করল স্বামী। ঘটনার তদন্তে নেমেছে সোনারপুর থানার পুলিস। অভিযুক্তকে জিজ্ঞাসাবাদ চলছে বলে জানিয়েছে পুলিশ সূত্র।

    ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ ২৪ পরগনার সোনারপুর থানা এলাকার রাজপুর সোনারপুর পুরসভার মাহিনগরে। জানা গিয়েছে, ক্যানিংয়ের হেরোভাঙা এলাকার বাসিন্দা বাপি গায়েন বছর আটেক আগে প্রেম করে বিয়ে করেছিলেন প্রতিবেশী প্রিয়াঙ্কা গায়েনকে। বিয়ের পর কাজের সূত্রে বাপি পার্ক সার্কাসের একটি কারখানায় চাকরি পান। তারপর স্ত্রীকে নিয়ে সোনারপুরের মাহিনগরে ভাড়াবাড়িতে থাকতে শুরু করেন।

    সেই ভাড়াবাড়ির পাশের ঘরেই থাকত সুপ্রকাশ দাস ও তার স্ত্রী। সূত্রের খবর, ধীরে ধীরে প্রিয়াঙ্কার সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে ওঠে সুপ্রকাশের। শুরু হয় গোপন প্রেম। বিষয়টি জানতে পেরে অশান্তি শুরু হয় বাপি-প্রিয়াঙ্কার সংসারে। এরই মধ্যে স্ত্রীকে নিয়ে অন্যত্র চলে যায় সুপ্রকাশ। তবুও সুপ্রকাশের সঙ্গে প্রিয়াঙ্কার সম্পর্ক ছিলই। দু'জনে মাঝে মাঝে ধানমাঠ এলাকায় একটি ভাড়াবাড়িতে একসঙ্গে সময় কাটাতেন। এই খবর পেয়ে ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে বাপি। জানা গিয়েছে, স্বামীকে খুনের পরিকল্পনা করছিল প্রিয়াঙ্কা ও সুপ্রকাশ। সেই কথা ফোনে কথা বলার সময় শুনে ফেলেন বাপি। তারপরেই নিজের জীবন বাঁচাতে এবং প্রতিশোধ নিতে সিদ্ধান্ত নেন স্ত্রীকে খুন করার।

    অভিযোগ, রাতে স্ত্রী ঘুমিয়ে পড়তেই শ্বাসরোধ করে খুন করেন বাপি। স্ত্রীকে খুনের পর নিজের অপরাধ স্বীকার করে সোজা সোনারপুর থানায় গিয়ে আত্মসমর্পণ করেন তিনি। পুলিস দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে। অভিযুক্ত বাপিকে জেরা করে ঘটনার সম্পূর্ণ তথ্য জানার চেষ্টা চলছে। এই চাঞ্চল্যকর ঘটনায় গোটা এলাকায় শোকের ছায়া। প্রতিবেশীদের একাংশ জানিয়েছে, বাপি-প্রিয়াঙ্কার মধ্যে মাঝেমধ্যেই অশান্তি হত। তবে এমন ঘটনা ঘটবে তা কেউ কল্পনাও করেনি। তদন্তে নেমে পুলিসের প্রাথমিক অনুমান, পরকীয়া থেকেই এই নারকীয় পরিণতি। সমস্ত দিক খতিয়ে দেখে তদন্ত চলছে বলে জানিয়েছে সোনারপুর থানার পুলিস।

  • Link to this news (২৪ ঘন্টা)