• এবার কড়া ধমক খেলেন রাজ্যের মন্ত্রীরা, মন্ত্রিসভার বৈঠকে রণংদেহী মেজাজে মমতা
    হিন্দুস্তান টাইমস | ০৯ এপ্রিল ২০২৫
  • রাজ্য–রাজনীতিতে এখন বড় ইস্যু প্রায় ২৬ হাজার শিক্ষক–শিক্ষাকর্মী চাকরি চলে যাওয়া। এই নিয়ে বিরোধীরা শাসকদলের মুণ্ডপাত করছে। এসএসসি মামলায় সুপ্রিম কোর্ট রায় দিতেই বিজেপি এবং সিপিএম লাগাতার আক্রমণে নেমে পড়েছে। এমনকী আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য সংবাদমাধ্যমে বলেছিলেন, এই ২৬ হাজার চাকরি যাওয়ার দায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারে। অথচ নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে মুখ্যমন্ত্রী নিজে বলেছিলেন, চাকরি বিক্রি থেকে চুরির বিষয়ে তিনি কিছুই জানতেন না। কিন্তু এই বিষয়ে শাসকদলের মন্ত্রীদের পাল্টা আক্রমণ করতে দেখা যায়নি বিরোধীদের। তাই আজ মন্ত্রিসভার বৈঠকে ক্ষোভ উগরে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলে সূত্রের খবর।

    বিরোধীরা এই ইস্যুকে মোক্ষম অস্ত্র হিসাবে ব্যবহার করতে সংবাদমাধ্যমে তো বটেই, সোশ্যাল মিডিয়াতেও ঝাঁপিয়ে পড়েছে। সুপ্রিম কোর্টের রায় নিয়ে একের পর এক নানা ব্যাখ্যা দিয়েছেন আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য। রাজ্য সরকারকে কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়ে দিয়েছেন। সেখানে সূত্রের খবর, এই গোটা পর্বে রাজ্যের মন্ত্রীদের উপর প্রচণ্ড ক্ষুব্ধ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কেন তাঁরা এই নিয়ে পাল্টা প্রতিক্রিয়া দিলেন না?‌ সিপিএম–বিজেপির আক্রমণে কেন চুপ করে থাকলেন?‌ আজ মন্ত্রিসভার বৈঠকে সেই প্রশ্ন করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।


    মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ছুটে যান নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে। যেখানে একদিন আগেই হয়েছিল চাকরিহারাদের সভা। সেখানে গিয়ে আশ্বাস দেন, নিজের জীবন থাকতে যোগ্যদের চাকরি তিনি যেতে দেবেন না। আর পাঁচটি প্ল্যান তৈরি রয়েছে। তার পর অযোগ্যদের বিষয়টিও দেখবেন। সুপ্রিম কোর্টের রায়ের পর এমন সব কথা বলে টাস্ক ফোর্সও গঠন করে দেন মুখ্যমন্ত্রী। আর আজ, মঙ্গলবার মন্ত্রিসভার বৈঠকে মন্ত্রীদের উদ্দেশে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য থেকে শুরু করে কেউ কেউ যা ইচ্ছে তাই সোশ্যাল মিডিয়ায় লিখে যাচ্ছে। সংবাদমাধ্যমে বলছে। যা লেখা হচ্ছে তার কোনও সারবত্তা নেই। একেবারে যুক্তিহীন। আমি বারবার বলছি, আপনারা সোশ্যাল সাইটে সক্রিয় হন, উত্তর দিন।’ এভাবেই কড়া ধমক দিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলে সূত্রের খবর।

    সুপ্রিম কোর্টের রায়ে তিনি যে খুশি নন সেটা বারবার বুঝিয়ে দিয়েছেন। নবান্ন থেকে সাংবাদিক বৈঠক করে সেদিনই বুঝিয়ে দিয়েছিলেন। তারপর নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়াম থেকেও ক্ষোভ উগরে দিয়েছিলেন। নবান্নের সাংবাদিক বৈঠক থেকে মুখ্যমন্ত্রী বলেছিলেন, ‘উনি তো পৃথিবীর সবচেয়ে বৃহত্তম ল ইয়ার! উনি কেন এখনও নোবেল প্রাইজ পাচ্ছেন না জানি না! পাওয়া উচিত! ভাবছি একটা রেকমেন্ডেশন করব। আমি বিশ্বাস করি সিপিএম–বিজেপি যৌথভাবে এই কাজটা করিয়েছে। তার জবাব ওরা আগামীদিনে আরও ভালভাবে পাবে।’ এবার সকলকে এই বিষয়টি নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় সক্রিয় হওয়ার পরামর্শ দিলেন মুখ্যমন্ত্রী।
  • Link to this news (হিন্দুস্তান টাইমস)