শহরে দুর্ঘটনাপ্রবণ এলাকায় বসছে উন্নত CCTV, মোতায়েন করা হবে আরও পুলিশ
হিন্দুস্তান টাইমস | ১৩ এপ্রিল ২০২৫
বিশেষজ্ঞদের নিয়ে ইতিমধ্যেই শহরের দুর্ঘটনাপ্রবণ এলাকা চিহ্নিত করেছে কলকাতা ট্রাফিক পুলিশ। এবার এই সমস্ত এলাকাগুলিতে দুর্ঘটনা রুখতে পুলিশ কর্মীর সংখ্যা বাড়ানোর পাশাপাশি সিসিটিভির নজরদারি বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে লালবাজার। এই এলাকাগুলিতে প্রায় তিনশোর মতো সিসিটিভি বসানোর সিদ্ধান্ত হয়েছে। ইতিমধ্যেই সিসিটিভি বসানোর জন্য দরপত্র ডেকেছে লালবাজার।
রাজ্যের পথ দুর্ঘটনাপ্রবণ এলাকাগুলির মধ্যে অন্যতম হল ইএম বাইপাস। এখানে ১৮টি দুর্ঘটনাপ্রবণ জায়গা রয়েছে। পরিসংখ্যান অনুযায়ী, দু’বছরে এই জায়গাগুলিতে ২৭৯টি দুর্ঘটনা ঘটেছে। যার মধ্যে মৃত্যু হয়েছে প্রায় ৩৫ জনের। এই অবস্থায় ইএম বাইপাস সংলগ্ন এলাকায় সিসিটিভি বসানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে লালবাজার।
সম্প্রতি খড়গপুর আইআইটির বিশেষজ্ঞদের নিয়ে এই দুর্ঘটনাপ্রবণ এলাকাগুলি পরিদর্শন করে ট্রাফিক পুলিশ। কলকাতা পুরসভা, পুলিশ, নগরোন্নয়ন দফতর এবং শিক্ষা দফতরের আধিকারিকরাদের নিয়ে এই সমীক্ষা হয়েছিল। তাতে দেখা গিয়েছে, দুর্ঘটনাভবন রাস্তাগুলির মধ্যে অন্যতম হল উল্টোডাঙা থেকে কামালগাজী পর্যন্ত বাইপাসের ২১ কিলোমিটারের রাস্তা।
মূলত এই এলাকাগুলিতে পথচারীরা কীভাবে রাস্তা পার হচ্ছেন বা কত গতিতে গাড়ি যাচ্ছে? গাড়ির চাপ কেমন? অথবা গত কয়েক বছরে কতগুলি দুর্ঘটনা ঘটেছে? সেই সবই খতিয়ে দেখেছে বিশেষজ্ঞ দল। তারপরে এই সমস্ত অংশে সিসিটিভি বসানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এই অংশে সিসিটিভি বসানোর জন্য ৯২ লক্ষ টাকা খরচ ধার্য হয়েছে।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, এই সমস্ত সিসিটিভিগুলি ইস্ট ট্রাফিক গার্ডের অধীনে ৪৩ টি জায়গায়, হেডকোয়ার্টার্স ট্রাফিক গার্ডের অধীনে ২৭টি জায়গায়, দক্ষিণ ট্রাফিক গার্ডের অধীনে ২২ টি, ভবানীপুর ট্রাফিক ১৮টি এবং বেলেঘাটা ট্রাফিক গার্ডে ১৩টি জায়গা চিহ্নিত করা হয়েছে। এরমধ্যে রয়েছে, বেলেঘাটা কানেক্টর, সল্টলেক স্টেডিয়াম সংলগ্ন অংশ, চিংড়িঘাটা উড়ালপুল, মেট্রোপলিটন, পাটুলি প্রভৃতি জায়গা।
প্রসঙ্গত, ইতিমধ্যেই সব মিলিয়ে শহরে প্রায় চার হাজার সিসিটিভি রয়েছে। সেগুলির সাহায্যে অপরাধ বা দুর্ঘটনার তদন্ত করা হয়ে থাকে। শহরে দুর্ঘটনার সংখ্যা কমাতে নগরপাল মনোজ বর্মা-সহ পুলিশকর্তারা রাস্তায় পুলিশকর্মীর সংখ্যা বৃদ্ধির পাশাপাশি উন্নত প্রযুক্তির সাহায্যে নজরদারি বাড়ানোর উপরেও জোর দিয়েছেন। এছাড়াও, সাধারণ মানুষকেও সচেতন হওয়ার অনুরোধ করেছেন। এক আধিকারিক জানান, পথ নিরাপত্তার জন্য সবকিছু করা হচ্ছে।